প্রায় দেড় মাস আগে ছয়টি নতুন গাড়ি আমদানির জন্য দেশের একটি বড় ব্যাংকে ঋণপত্র (এলসি) খুলেছিল হকস বে অটোমোবাইলস। এরপর সরবরাহকারীরা গাড়ি পাঠিয়ে দেন। কিন্তু দেশে গাড়ি এসে গেলেও চুক্তি অনুযায়ী ব্যাংকটি বিদেশি সরবরাহকারীদের ঋণপত্রের টাকা এখনো পরিশোধ করতে পারেনি।
প্রতিষ্ঠানটির মালিক আবদুল হক জানান, ‘নিয়ম অনুসারে পণ্য জাহাজীকরণের পরেই টাকা পরিশোধ করার কথা আমাদের। অথচ পণ্য দেশে আসার পরও টাকা পরিশোধ হয়নি। এতে আমরা একধরনের খেলাপি হয়ে যাচ্ছি। এভাবে চললে ভবিষ্যতে বিক্রেতারা আমাদের কাছে গাড়ি বিক্রি করবেন না। পাশাপাশি যেসব ব্যাংকের মাধ্যমে ঋণপত্র খুলছি, তাদের কাছ থেকেও হয়তো ঋণপত্রের আবেদন নিতে চাইবেন না।’
আবদুল হক আরও বলেন, ‘এ অবস্থায় হয় আমাদের আমদানি করা পণ্য ফেরত পাঠাতে হবে। না হয় আমাদের খেলাপি হিসেবে রপ্তানিকারদের সঙ্গে সমঝোতার মাধ্যমে ঋণপত্র বিলম্বিত (ডেফার্ড এলসি) করে ব্যবসা বাঁচিয়ে রাখতে হবে।’ সব মিলিয়ে একটা অনিশ্চিত অবস্থার মধ্যে পড়েছেন বলে জানান তিনি।