আসন্ন রমজান মাসকে ঘিরে পণ্য আমদানি কার্যক্রম যাতে নির্বিঘ্ন হয় সে উদ্যোগ নিচ্ছে সরকার। এ সময় পণ্যের দাম সহনীয় রাখতে ভোজ্য তেল, চিনি, পেঁয়াজসহ আটটি নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যপণ্য আমদানিতে ঋণপত্র (এলসি) খুলতে ন্যূনতম নগদ মার্জিন রাখার নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। আবশ্যকীয় খাদ্যপণ্যের তালিকায় ভোজ্য তেল, ছোলা, ডাল, মটর, পেঁয়াজ, মসলা, চিনি ও খেজুর রাখা হয়েছে। ডলার সংকটের মধ্যে এলসি খোলায় ধীরগতি এবং কড়াকড়ির মধ্যে রোজায় এসব পণ্যের সরবরাহ স্বাভাবিক রাখার মাধ্যমে দাম সহনীয় রাখতে আগেভাগেই এমন সিদ্ধান্ত জানাল বাংলাদেশ ব্যাংক। মুসলমানরা সিয়াম সাধনার অংশ হিসেবে এক মাস রোজা রেখে থাকেন। চাঁদ দেখা সাপেক্ষে ২০২৩ সালে রমজান মাস শুরু হতে পারে মার্চের মাঝামাঝি সময়ে।
বৈদেশিক মুদ্রার ওপর চাপ কমিয়ে আনতে আমদানি নিয়ন্ত্রণে কড়াকড়ি আরোপের এ উদ্যোগ গত এপ্রিল থেকে নেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এরপর থেকে এলসি নিষ্পত্তি ৮ বিলিয়ন থেকে গত নভেম্বরে ৫ বিলিয়ন ডলারের ঘরে নেমেছে। নতুন এলসি খোলার হার ৭ বিলিয়ন ডলার থেকে ৪ বিলিয়ন ডলারের ঘরে নেমেছে। বাংলাদেশ ব্যাংক আশা করছে, আগামী জানুয়ারির মধ্যে এলসি খোলা ও নিষ্পত্তির হার কাছাকাছি পর্যায়ে চলে আসবে।