এই মুহূর্তে জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়াতে চায় না বিএনপি। জামায়াত যাতে সরকারের দিকে ঝুঁকে না পড়ে সেদিকেও নজর রাখছে দলটি। বিএনপির একাধিক উচ্চপর্যায়ের দায়িত্বশীল নেতার সঙ্গে কথা বলে জামায়াতের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে দলের কৌশল জানা গেছে। তবে চূড়ান্ত আন্দোলনের আগে জামায়াতের সঙ্গে দূরত্ব কমাতে আবারো উদ্যোগ নিতে পারে বিএনপি।
বিএনপির দায়িত্বশীল নেতারা বলছেন, নানা রাজনৈতিক হিসাব-নিকাশ বা কৌশলের কারণে তারা জামায়াতের সঙ্গে কিছুটা দূরত্ব বজায় রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। কারণ, টানা দুই জাতীয় নির্বাচন ঘিরে বিএনপি ও জামায়াতের সম্মিলিত আন্দোলন ও নির্বাচন ফলপ্রসূ হয়েছে বলে মনে করছেন দলের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের অনেক নেতা।
এ ছাড়া সরকারি দলের নেতিবাচক প্রচারণা আন্তর্জাতিক মহলে ‘বিএনপি-জামায়াত’ জোট সম্পর্কে নেতিবাচক ধারণা তৈরি করেছে। এর জন্য দায়ী বিএনপি। এ অবস্থা এড়াতে জামায়াতকে দূরে রেখে অন্য শরিকদের নিয়ে আন্দোলন শুরু করে বিএনপি। তবে আন্দোলন চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছানোর আগে পরিস্থিতি বুঝে জামায়াতের সঙ্গে আবারও যোগাযোগ করতে পারে বিএনপি।
২০১৮ সালের সংসদ নির্বাচনের পর থেকে কার্যত জামায়াত-বিএনপির মধ্যে সম্পর্ক শিথিল। এখন এটা খুবই বিচ্ছিন্ন। গত ২৪ ডিসেম্বর থেকে বিএনপির নেতৃত্বে বিরোধী দলগুলোর একযোগে আন্দোলন কর্মসূচিতে প্রাথমিক দুটি কর্মসূচিতে অংশ নেয় জামায়াত। এরপর আর কোনো কর্মসূচিতে অংশ নিচ্ছে না জামায়াত। এ পর্যন্ত একযোগে ছয়টি কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে। সপ্তম কর্মসূচি হিসেবে ১৭ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় এবং ১৮ ফেব্রুয়ারি অন্যান্য ১১টি শহরে একযোগে পদযাত্রা কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। জামায়াতও এই কর্মসূচিতে অংশ নেয়নি।