এবার চীনের বন্দরনগরী কিংদাওয়ের কাছে একটি ‘অজ্ঞাত বস্তু’-কে পানির ওপর দিয়ে উড়তে দেখা গেছে। চীনের কর্তৃপক্ষ এটিকে গুলি করার প্রস্তুতি নিচ্ছে। সংবাদমাধ্যম দ্য পেপারের বরাত দিয়ে এমন তথ্যই জানিয়েছে এনডিটিভি।
যুক্তরাষ্ট্রের আকাশে চীনের নজরদারি বেলুন নিয়ে আলোচনার মধ্যেই চীনে এমন ঘটনা ঘটল। চীনের আকাশে উড়ন্ত বস্তুটি আসলে কী, তা নিশ্চিত করতে পারেনি চীনা প্রশাসন।
কিংদাও জিমো জেলার মেরিন ডেভেলপমেন্ট অথরিটির একজন কর্মচারী জানিয়েছে, বস্তুটি নামানোর প্রস্তুতি চলছে। ওই অঞ্চলের জেলেদের নিরাপত্তার বিষয়ে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।
সাম্প্রতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং কানাডা তিনটি বেলুন গুলি করে ভূপাতিত করে। যুক্তরাষ্ট্রের আকাশে চীনা গোয়েন্দা বেলুন সনাক্ত হওয়ার পরে ওয়াশিংটন ও বেইজিংয়ের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কে উত্তেজনা ছড়িয়েছে।
এরপর বেলুন ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে ধ্বংস করা হয়েছে। শুধু যুক্তরাষ্ট্র নয়, দক্ষিণ আমেরিকার আকাশেও একই ধরনের চীনা গোয়েন্দা বেলুন উড়তে দেখা গেছে। যুক্তরাষ্ট্র জানায় চীনা বেলুনগুলো তাদের সামরিক স্থাপনার ওপর দিয়ে উড়ে গেছে এবং গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ করেছে। মোট ৪০টি দেশের ওপর দিয়ে উড়ে এসব বেলুন নানা ধরনের তথ্য সংগ্রহ করেছে বলে তারা দাবি করে।
উত্তরে চীন জানিয়েছিল, এগুলো গোয়েন্দা বেলুন নয়। বেলুনটি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণকারী বেলুন। বাতাসের কারণে গতিপথ ভুলে যুক্তরাষ্ট্রের আকাশে চলে গেছে। এজন্য আনুষ্ঠানিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করেছে বেইজিং। এই ঘটনার জের ধরেই বেইজিং সফর স্থগিত করেছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন। এমন ঘটনা যুক্তরাষ্ট্রের সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘনের শামিল বলে জানান তিনি।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বিডেন এবং কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর নির্দেশে যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধবিমান গত শনিবার নতুন আরো একটি অজ্ঞাত উড়ন্ত বস্তুকে গুলি করে ভূপাতিত করেছে। কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো টুইটারে এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘আমি কানাডার আকাশসীমা লঙ্ঘনকারী একটি অজ্ঞাত বস্তু সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছি।’
তিনি বলেছেন, উত্তর যুক্তরাষ্ট্রের অ্যারোস্পেস ডিফেন্স কমান্ডের সঙ্গে একটি আমেরিকান এফ-২২ (যেটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং কানাডা যৌথভাবে পরিচালিত করে) সফলভাবে বস্তুটিতে গুলি চালায়। কানাডা এখন ওই বস্তুর ধ্বংসাবশেষ পুনরুদ্ধার করবে এবং বিশ্লেষণ করে দেখবে বলেও জানা যায়।
সূত্র: এনডিটিভি।