বাংলাদেশের সীমান্ত নিরাপত্তা কার্যকরভাবে রক্ষা করতে জাতীয় সংসদকে চারটি পরামর্শ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
আন্তরাষ্ট্র সীমান্ত অপরাধ শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনতে এবং জাতীয় রাজস্ব আয়ে ফাঁকি প্রতিরোধ করতে সেগুলো গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করার পরামর্শ দিয়েছেন আদালত।
বিচারপতি মো. আশরাফুল কামালের একক হাইকোর্ট বেঞ্চ এক মামলার রায়ে এ পরামর্শ দিয়েছেন। ১৯৮৭ সালে চোরাচালানবিরোধী অভিযানে যশোর সীমান্তে ভারতীয় শাড়ি উদ্ধারের ঘটনায় বিজিবির দায়ের করা মামলায় আসামি জাকির হোসেনকে তিন বছরের সাজা থেকে খালাসের রায়ে এ পরামর্শ এসেছে।
শনিবার ১১ পৃষ্ঠার এ রায় প্রকাশ করা হয়েছে।
আদালত রায়ে বলেছেন, বাংলাদেশের সীমান্ত নিরাপত্তা কার্যকরীভাবে রক্ষা এবং আন্তঃরাষ্ট্র সীমান্ত অপরাধ শূন্যের কোটায় নামিয়ে আনতে হলে এবং জাতীয় রাজস্ব আয় ফাঁকি প্রতিরোধ করতে হলে মহান জাতীয় সংসদকে নিম্ন বর্ণিত পরামর্শগুলো গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করতে হবে। মহান জাতীয় সংসদকে প্রদত্ত পরামর্শ–
১. সীমান্ত রেখা থেকে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ১০ মাইল পর্যন্ত সীমান্ত এলাকা বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের সম্পত্তি ঘোষণা করা।
২. এই ঘোষণার ফলে ক্ষতিগ্রস্ত সব ব্যক্তিগত সম্পত্তির মালিকের ক্ষতির পরিমাণ নির্ণয় করত সমমূল্যের সরকারি খাস সম্পত্তি হতে তাদের বরাদ্দ প্রদান।
৩. সীমান্ত লাইন থেকে ৮ কিলোমিটার ভূমি সম্পূর্ণ ফাঁকা এবং সমান থাকবে। যেন এই ৮ কিলোমিটার প্রতিটি ইঞ্চি ৮ কিলোমিটার দূর থেকে পরিষ্কার দেখা যায়।
৪. সীমান্ত রেখা থেকে ৮-১০ কিলোমিটার মধ্যবর্তী স্থান বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের যাবতীয় স্থাপনা, প্রশিক্ষণসহ যাবতীয় কর্মকাণ্ডের জন্য সংরক্ষিত রাখা।
এ রায় ও আদেশের অনুলিপি অধস্তন আদালতের সব বিচারককে ই-মেইলের মাধ্যমে পাঠানোর জন্য রেজিস্ট্রার জেনারেলকে নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে।
রায় ও আদেশের অনুলিপি মহাপরিচালক, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশকে ই-মেইলের মাধ্যমে পাঠানোর জন্য রেজিস্ট্রার জেনারেলকে নির্দেশ প্রদান করেছেন হাইকোর্ট। পাশাপাশি রায় ও আদেশের অনুলিপি সচিব, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে ই-মেইলের মাধ্যমে পাঠানোর জন্য রেজিস্ট্রার জেনারেলকে নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে।
রায়ে বলা হয়েছে, এ রায় ও আদেশের অনুলিপি জাতীয় সংসদের সব সম্মানিত সংসদ সদস্যকে ই-মেইলের মাধ্যমে পাঠানোর জন্য রেজিস্ট্রার জেনারেলকে নির্দেশ প্রদান করা হলো।