বিএনপির ছেড়ে দেওয়া আসনে প্রার্থী দিবে না আ. লীগ

election-bangladesh-dainik-bhashwakar
Spread the love

বিএনপির ছেড়ে দেওয়া আসনগুলো উন্মুক্ত করে দেওয়ার কথা ভাবছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। সে ক্ষেত্রে ওই সব সংসদীয় আসনের উপনির্বাচনে দলীয় কোনো প্রার্থী না দেওয়ারও চিন্তা করছে দলটি।

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সভায় এই ইঙ্গিত দিয়েছেন দলের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় গণভবনে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় উপস্থিত একাধিক সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। জাতীয় সম্মেলনের মাধ্যমে গত শনিবার আওয়ামী লীগের নতুন কেন্দ্রীয় কমিটির গঠনের পর সভাপতিমণ্ডলীর প্রথম বৈঠকটি হয়েছে গতকাল।

দলীয় সূত্রগুলো আরও বলছে, উপনির্বাচন নিয়ে দলীয় প্রধানের এমন ভাবনার পেছনে জাতীয় পার্টি, ১৪ দলসহ অন্যদের মাঠের শক্তি যাচাই করার পরিকল্পনা থাকতে পারে। এ ছাড়া বিএনপির কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে কেউ প্রার্থী হলে রাজনৈতিকভাবে সুবিধা পাবে আওয়ামী লীগ। ২০১৮ সালের সর্বশেষ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ১৪ দলের জোটভুক্ত শরিক দলগুলো এবং জাতীয় পার্টির সঙ্গে আসন সমঝোতা করেছিল আওয়ামী লীগ। আগামী নির্বাচনের এক বছর আগে উপনির্বাচন নিয়ে নতুন করে আসন ভাগাভাগির কোনো ‘ঝামেলায়’ যেতে চাইছে না আওয়ামী লীগ।

অবশ্য বিএনপির ছেড়ে দেওয়া আসনগুলোতে উপনির্বাচনে দলের প্রার্থী বাছাইয়ের লক্ষ্যে আগামীকাল বুধবার থেকে ফরম বিক্রির ঘোষণা দিয়ে রেখেছে আওয়ামী লীগ। তবে দলীয় সূত্র বলছে, আসনগুলো উন্মুক্ত করে দেওয়ার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর ইঙ্গিতের পর হয়তো মনোনয়ন ফরম বিক্রি বন্ধ হয়ে যেতে পারে।

বিএনপির সাতজন সংসদ সদস্য ১০ ডিসেম্বর পদত্যাগের ঘোষণা দেন। পরে তাঁরা জাতীয় সংসদে গিয়ে স্পিকারের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন। এর মধ্যে একটি সংরক্ষিত নারী আসন। আগামী ১ ফেব্রুয়ারি ছয়টি আসনে উপনির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন।

সভাপতিমণ্ডলীর বৈঠকে উপস্থিত একাধিক সূত্র বলছে, ৩০ ডিসেম্বর ঢাকায় বিএনপির গণমিছিল কর্মসূচি নিয়েও গতকাল আলোচনা হয়েছে। বিএনপির গণমিছিলের দিন নিজ দলের নেতা-কর্মীদেরও ১০ ডিসেম্বরের মতো সতর্ক অবস্থানে থাকার কথা বলেছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। গত ১০ ডিসেম্বর বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় গণসমাবেশকে কেন্দ্র করে রাজধানী কার্যত আওয়ামী লীগের নেতা–কর্মী ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে ছিল। পরে আওয়ামী লীগের নেতারা বিএনপির গণসমাবেশকে ব্যর্থ বলে প্রচার করে। বিরোধীদের ৩০ ডিসেম্বরের কর্মসূচিও যাতে একইভাবে সফল হতে না পারে, সে বিষয়ে সভাপতিমণ্ডলীর বৈঠকে আলোচনা হয়েছে।

বৈঠক সূত্র আরও জানায়, বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয় নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার প্রকাশ্যে বক্তৃতা–বিবৃতির বিষয়টিও আলোচনা এসেছিল। এ সময় প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, রাশিয়া বাংলাদেশের পক্ষ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রকে যে কথাগুলো বলছে, এর পেছনে সরকারের কোনো ভূমিকা নেই। রাশিয়া নিজ থেকেই তাদের অবস্থান প্রকাশ করছে। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময়ও রাশিয়ার জোরালো অবস্থান ছিল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *