বৃহস্পতিবার মধ্যরাত থেকে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে চুয়াডাঙ্গায়। আবহাওয়া অধিদপ্তর আজ শুক্রবার সকাল নয়টায় জেলায় তাপমাত্রা ৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করে। আগের দিন তাপমাত্রা ছিল ১১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দুই দিনই সীমান্তঘেঁষা এ জেলায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। শীতের কারণে জনজীবন বিপর্যস্ত।
আজকের তাপমাত্রার তথ্য তুলে ধরে চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার হাটকালুগঞ্জে অবস্থিত প্রথম শ্রেণি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রকিবুল হাসান দাবি করেন, এটিই চলতি মৌসুমে সারা দেশের মধ্যে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। আগামী দিনে তাপমাত্রা আরও কমতে পারে বলে জানান তিনি।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের দেওয়া তথ্য মতে, ১০ ডিসেম্বর জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ওই দিন থেকে তাপমাত্রা এর চেয়ে আর বাড়েনি। ১১ ডিসেম্বর ১৩ দশমিক ৪, ১২ ডিসেম্বর ১৩ দশমিক ২, ১৩ ডিসেম্বর ১৪, ১৪ ডিসেম্বর ১৩, ১৫ ডিসেম্বর ১১ দশমিক ৫ ও আজ শুক্রবার ৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আজ সকাল থেকে সূর্যের দেখা মিললেও আকস্মিক তাপমাত্রা কমে যাওয়া এবং উত্তর থেকে ধেয়ে আসা হিমেল হাওয়ার কারণে শীত বেশি অনুভূত হচ্ছে। এতে হতদরিদ্র ও নিম্ন আয়ের মানুষের দুর্ভোগ বেড়েছে। জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম খান বলেন, শীতার্ত মানুষের দুর্ভোগের কথা মাথায় রেখে চার উপজেলায় ইউএনওদের কাছে ৭ লক্ষ কম্বল ও শীতবস্ত্র পাঠানো হয়েছে। আরও ২১ হাজার ত্রাণ ভান্ডারে মজুদ আছে। শিগগিরই হতদরিদ্র শীতার্ত মানুষের মধ্যে এসব বিতরণ করা হবে।