কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে দেশের চলমান পরিস্থিতিতে বলবৎ থাকা কারফিউর মেয়াদ আরও ১৫ থেকে ৩০ দিন বাড়ানোর প্রস্তাব করেছেন ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন জোট ১৪ দলের নেতারা।
গতকাল সোমবার প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪-দলীয় জোটের বৈঠকে এ প্রস্তাব করা হয়।
বৈঠকে জোট নেতারা বলেন, আপাতত পরিস্থিতি স্বাভাবিক মনে হলেও এখনো জামায়াত-শিবির ও বিএনপি ঘরে ফিরে যায়নি। তাই মাঠ থেকে এখনই সেনাবাহিনীসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে তুলে নেওয়া ঠিক হবে না।
বৈঠকে জোটের প্রায় সব নেতাই চলমান পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে জনগণের মধ্যে কীভাবে স্বস্তি ফেরানো যায় সে বিষয়ে কথা বলেন। পরিস্থিতি সামাল দিতে গিয়ে পুলিশ যেন বাড়াবাড়ি না করে সেদিকে বিশেষ নজর রাখতে বলেন তারা। কেউ যাতে হয়রানির শিকার না হয়, সেজন্য সঠিক তথ্য নিয়ে গ্রেপ্তারের দাবি জানানো হয়।
একইসঙ্গে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ ফিরিয়ে আনার জন্য সরকারের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন ১৪-দলীয় জোটের নেতারা। তারা বলেন, ধারাবাহিকভাবে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে।
একই বৈঠকে যুদ্ধাপরাধে অভিযুক্ত জামায়াতে ইসলামী ও তাদের ছাত্র সংগঠন ইসলামী ছাত্রশিবিরকে নিষিদ্ধ করার বিষয়ে একমত হয়েছেন ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪-দলীয় জোটের বৈঠকের আলোচনায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ উপস্থিত সব নেতা। জামায়াতে ইসলামী ও ছাত্রশিবির ‘সন্ত্রাস’ এবং ‘জঙ্গিবাদের’ সঙ্গে যুক্ত উল্লেখ করে সংগঠন দুটিকে নিষিদ্ধ করার প্রজ্ঞাপন আগামী দুই-তিন দিনের মধ্যে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে জারি করা হবে বলে সরকারের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের একাধিক ব্যক্তি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।