দিনের প্রথম ম্যাচে মিরপুর শেরেবাংলার গ্যালারি প্রায় ভরপুর ছিল দর্শকে। কিন্তু পরের ম্যাচেই দেখা গেল উল্টো দৃশ্য। ঢাকা ডমিনেটর্সের হয়ে একমাত্র সৌম্য সরকার ছাড়া কেউ রান করতে পারেননি। পরে ঢাকার রান তাড়ায় নেমে খুলনার ব্যাটাররা এমনভাবে ধুঁকছিলেন যে গ্যালারি ফাঁকা হতে থাকে। এমন ম্যাড়ম্যাড়ে ম্যাচও হুট করেই জমে উঠেছিল। শেষ পর্যন্ত যারা ধৈর্য ধরে ছিলেন, তারা অবাক বিস্ময়ে দেখলেন এই পুঁজি নিয়েও কিভাবে ২৪ রানের জয় তুলে নিল!
রান তাড়ায় নেমে খুলনা টাইগার্সের শুরুটাও হয়েছিল নড়বড়ে। টার্গেট ছোট হলেও রান তুলতে নাভিশ্বাস উঠছিল খুলনার ব্যাটারদের। দলীয় ৯ রানে শাই হোপকে (৫) বোল্ড করে দেন তাসকিন আহমেদ। মাহমুদুল হাসান জয় করেন ৫ বলে ৪ রান। পাকিস্তানি আজম খানও তাসকিনের শিকার হওয়ার আগে ১০ বলে ৪ রানের বেশি করতে পারেননি। খুলনা অধিনায়ক ইয়াসির আলী আর তামিম ইকবাল মিলে দলকে এগিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছিলেন। ঢাকার ফিল্ডারদের ক্যাচ মিসের অবদানও কম নয়। নাসিরের বলে ২৩ বলে ৩০ করা তামিম ক্যাচ দিয়ে ফেরেন।
১০ ওভারে আসে ৫৭ রান। ২৪ বলে ২১ রান করা ইয়াসিরকে লেগ বিফোরের ফাঁদে ফেলেন সালমান ইরশাদ। রিভিউ নিয়েও বাঁচতে পারেননি খুলনা অধিনায়ক। তবে আমির হামজার বলে আমাদ বাট (৭) আউট হলে ম্যাচ জমে ওঠে। ৭৫ রানে ৬ উইকেট হারায় খুলনা! নাহিদুলের (৫) বিদায়ে ৮০ রানে নেই ৭টি! তাসকিনের করা ১৬তম ওভারে ৯ম ব্যাটার হিসেবে দৃষ্টিকটুভাবে আউট হওয়া সাইফউদ্দিন ৬ বলে করেন ২ রান। ওই ওভারেই তাসকিনের দুর্দান্ত গতির একটা বলে নাহিদ রানার স্টাম্প উপড়ে গেলে ৮৪ রানে থেমে যায় খুলনা। ঢাকা পায় ২৪ রানের দারুণ জয়। তাসকিন নেন ৯ রানে ৪ উইকেট। ২টি করে নেন নাসির এবং আল-আমিন।
মিরপুর শেরেবাংলায় আজ মঙ্গলবার দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে দলীয় ৬ রানেই প্রথম উইকেট হারায় ঢাকা ডমিনেটর্স। মিজানুর রহমানকে (১) ফেরান নাহিদুল। একই ওভারের শেষ বলে তিনি তুলে নেন উসমান গনিকে (০)। ক্যাচ নেন তামিম ইকবাল। ফিরতি ওভারে এসে আবারও নাহিদুলের বলে মোহাম্মদ মিঠুনের (০) ক্যাচ নেন তামিম। এই নাহিদুল-তামিম জুটির পরবর্তী শিকার অ্যালেক (০)। ৮ম ওভারে অ্যালেক্সকে তামিমের তালুবন্দি করে নিচের চতুর্থ শিকার ধরেন নাহিদুল। সতীর্থদের যাওয়া আসার মাঝে একজন ছিলেন অবিচল। তিনি সৌম্য সরকার! যাকে নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে চলছিল সমালোচনা।
বহুদিন পরই আজ সৌম্যর ব্যাটে দেখা গেল সেই পুরনো ঝড়। যেন ২০১৫ সালের সেই সৌম্য খেলছিলেন মিরপুর শেরেবাংলায়। ৩৮ বলে তুলে নেন ফিফটি। ৪৫ বলে ৬ চার ২ ছ্ক্কায় ৫৭ রান করা সৌম্যকে শেষ পর্যন্ত বোল্ড করে থামান নাসুম আহমেদ। পরের ব্যাটাররাও দ্রুত প্যাভিলিয়নে ফিরলে ১৯.৪ ওভারে মাত্র ১০৮ রানে থেমে যায় ঢাকা ডমিনেটর্স। সৌম্যর পর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১২ রান করেছেন তাসকিন আহমেদ। ৪ ওভারে ২ মেডেনসহ মাত্র ৬ রানে ৪ উইকেট নিয়েছেন নাহিদুল। ১১ রানে নাসুমের শিকার ৩টি।