কাতারে গতকাল রোববার ফুটবল বিশ্বকাপ শেষ হয়েছে। এবারের ফিফা বিশ্বকাপ নিয়ে সারা দুনিয়ায় এক মাস ধরে যেসব আলোচনা-আগ্রহ, উৎসাহ-উদ্দীপনা ও আবেগ-উত্তেজনা দেখা গিয়েছিল, সেগুলো এরই মধ্যে স্তিমিত হতে শুরু করেছে। তবে এখন আলোচনায় উঠে আসছে বিশ্বকাপের আয়োজক কাতারের পর্যটনশিল্পের সম্ভাবনা ও এ খাতের আয়ের বিষয়টি। কারণ, এ আয়োজন কাতার সরকার ও জনগণের সামনে দেশের পর্যটনশিল্পের বিকাশ ও বিপণনের এক অবারিত সুযোগ এনে দিয়েছে। ফলে ছোট্ট উপসাগরীয় দেশ কাতার এখন পর্যটন ব্র্যান্ড হিসেবে অর্থ উপার্জনের নতুন সম্ভাবনা কাজে লাগাতে পারে।
ফিফা বিশ্বকাপ ফুটবল উপলক্ষে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ও প্রান্ত থেকে কাতারে সব মিলিয়ে ১ কোটি ২০ লাখ থেকে দেড় কোটি মানুষের সমাগম ঘটবে, আর বিশ্বজুড়ে প্রায় ৫০০ কোটি মানুষ বিশ্বকাপের খেলা দেখবেন বলে আশা করা হয়েছিল।
ফিফা বিশ্বকাপ আয়োজনের জন্য কাতারকে এক দশকের বেশি সময় ধরে প্রস্তুতি নিতে হয়েছে। এ জন্য দেশটিকে সার্বিক অবকাঠামো গড়ে তুলতে প্রায় ২২ হাজার কোটি থেকে ৩০ হাজার কোটি মার্কিন ডলার ব্যয় করতে হয়েছে। অবশ্য কাতারের আর্থিক সক্ষমতা বেশ ভালো। কাতার সরকার চলতি ২০২২ সালের প্রথম ত্রৈমাসিকে ১ হাজার ৭৮৫ কোটি ডলার ও দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে ২ হাজার ৩৫৪ কোটি ডলার আয় করেছে।