বিদেশে বাংলাদেশি দূতাবাসগুলোর প্রবাসী শ্রমিকদের সাহায্য সহযোগিতায় এগিয়ে আসা উচিত, কিন্তু বাস্তবে তা হচ্ছে না। রেমিট্যান্স যোদ্ধাদের ত্যাগের মূল্যায়নের মাধ্যমে তাঁদের উপযুক্ত সম্মান ও প্রাপ্য সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে। সরকার থেকে যেসব সুযোগ-সুবিধা তাঁদের দেওয়া হয় অনেকে তা জানেই না। বেড়াজাল ডিঙিয়ে সেগুলো তাঁদের জন্য আরো সহজ করতে হবে।
আন্তরিকতার সাথে ব্যাংকিং সিস্টেমে বৈধপথে রেমিট্যান্স পাঠাতে প্রবাসী শ্রমিকদের উৎসাহিত করতে হবে।
আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস উদযাপন উপলক্ষে আজ শুক্রবার রাজধানীর তেজগাঁওয়ে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশনে (এফডিসি) ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি আয়োজিত এক ছায়া সংসদে পরিকল্পনামন্ত্রী এসব কথা বলেন।
পরিকল্পনামন্ত্রী আরও বলেন, কারো প্রতি অবিচার করে উন্নয়ন করা সম্ভব নয়। ব্যাংকিং সিস্টেম ও আমলাতান্ত্রিক জটিলতার কারণে বৈধপথে রেমিট্যান্স পাঠাতে প্রবাসী শ্রমিকরা কম উত্সাহিত হন। অন্যদিকে হুন্ডি ব্যবসায়ীরা তাঁদের বুকে টেনে নেন, তাঁদের সঙ্গে গড়ে তোলেন বন্ধুত্বের বন্ধন। সরকার প্রণোদনা দিয়ে প্রবাসী শ্রমিকদের প্রেরিত অর্থের বিনিময় হার বাড়ালেও হুন্ডি ব্যবসায়ীরা বিভিন্ন কায়দা-কৌশলে তা আরো বাড়িয়ে দেন। বৈধপথে যেসব রেমিট্যান্স যোদ্ধা দেশে টাকা পাঠাবেন এ বছর থেকেই তাঁদের ইউনিভার্সেল পেনশন স্কিমের আওতায় আনা হবে।
তিনি বলেন, শুধু সরকারি কর্মকর্তা, ভিআইপি, সিআইপিদের জন্যই নয়, রেমিট্যান্স যোদ্ধাদের জন্যও সরকারিভাবে প্লট বরাদ্দ রাখা উচিত। প্রবাসী কর্মীদের জন্য আইনের সংখ্যা কমাতে হবে এবং আইন আরো সহজ করতে হবে।
সচিব আহমেদ মুনিরুছ সালেহীন বলেন, ‘আমাদের অষ্টম ও পঞ্চম বার্ষিক পরিকল্পনায় রেমিট্যান্সকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। দক্ষ শ্রমশক্তি তৈরির মাধ্যমে সব চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে অভিবাসন খাতকে এগিয়ে নিতে হবে। ’
হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ প্রবাস আয় বৃদ্ধিসহ বিদেশে অবস্থানরত কর্মীদের প্রতি মর্যাদা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির পক্ষ থেকে আট দফা সুপারিশ করেন।
‘প্রবাসী কর্মীদের প্রেরিত অর্থ বৈদেশিক আয়ের মূল চালিকা শক্তি’ শীর্ষক ছায়া সংসদ বিতর্ক প্রতিযোগিতায় ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশকে পরাজিত করে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজ। চ্যাম্পিয়ন দলকে ৩০ হাজার টাকা এবং রানারআপ দলকে ২০ হাজার টাকাসহ ট্রফি, ক্রেস্ট ও সনদপত্র দেওয়া হয়। প্রতিযোগিতায় বিচারক ছিলেন অধ্যাপক আবু মোহাম্মদ রইস, অধ্যাপক তাজুল ইসলাম চৌধুরী তুহিন, নাশিদ রিজওয়ানা মনির ও সাংবাদিক ঝুমুর বারী।