সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এবং মিডিয়ায় এখন আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে জনপ্রিয় রেডিও জকি ও ইউটিউবার মো. গোলাম কিবরিয়া সরকার (আরজে কিবরিয়া)।
কক্সবাজারে বেড়াতে গিয়ে স্ত্রীর সঙ্গে ঝামেলার পর সন্তান ও নিজের নিরাপত্তা চেয়ে থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করে সংবাদমাধ্যমের শিরোনাম হয়েছেন তিনি।
বৃহস্পতিবার (১২ জানুয়ারি) দুপুরে স্ত্রীর বিরুদ্ধে জিডি করেন কিবরিয়া। কক্সবাজার সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রফিকুল ইসলাম সাধারণ ডায়েরির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এ ঘটনার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে শুরু করে মূল ধারার কয়েকটি সংবাদমাধ্যমে ‘উল্টো খবর’ প্রচার হতে থাকলে, ওইদিন সন্ধ্যা ৭টা ১৩ মিনিটে নিজের ফেসবুক আইডিতে একটি পোস্ট দেন।
পোস্টে তিনি লিখেন, ‘প্রিয় পরিচিত জন। আমার জ্ঞানত আমি কোনদিন আমার পারিবারিক বিষয় নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়াতে আলোচনা সমালোচনা হয় এমন কোনো বিষয় নিয়ে কথা বলিনি। আমি বলতেও চাই না। যতক্ষণ পর্যন্ত সে আমার স্ত্রী। আমি কমবেশি সোশ্যাল মিডিয়ার নেগেটিভিটি ফেস করা মানুষ। আমি জানি, একটা সংবাদ যাচাই বাছাই না করে অনলাইনে ছাড়া যায় না। ঘটনা পুরাই উল্টে দেয়া যায়। কাউকে নিয়ে পাবলিকলি বাজে কথা বলার আমি পক্ষে না। আমি জানি আমার চির শত্রু বলে যদি কেউ থেকে থাকে তো সে প্রথম এবং একমাত্র টার্গেট করবে আমার চরিত্র এবং পাবলিক ইমেজ। আমি সেটাতে বিন্দুমাত্র ভয় পাই না।’
তিনি আরও লিখেছেন, ‘আমি ক্ষমা করতে ভালোবাসি। আমার সন্তানদের ক্ষতি যেমন আমি কোনোদিন মেনে নিব না, ঠিক একইভাবে আপনাদের এই ভুলভাল নিউজ তাদের ফিউচারের জন্য কোনো ক্ষতি হোক সেটাও আমি চাই না। প্লিজ। আমি আমার কাছে সৎ এবং কারো প্রতি কোনো অন্যায় করিনি। যারা আমাকে ভালোবাসেন তারা আস্থা রাখুন। দোয়া করবেন।’
তার ওই পোস্টের নিচে এক ব্যক্তি মাথা ঠান্ডা রেখে ধৈর্য ধরতে বলেন।
ওই কমেন্টের রিপ্লাইয়ে কিবরিয়া লেখেন, ‘আমাকে এবার পারতেই হবে…ভাই। অনেক সেক্রিফাইস করেছি…অনেক। আপনি ছাড়া আর কে বেশি ভালো জানেন। জন্মদাতা মাকেও ঢুকতে দিতে পারি না আমার বাসায়। আর কতকাল পাবলিক ইমেজের ক্ষতি হবে ভেবে নিজেকে নিজে ধ্বংস করব। আমি সব কিছুর জন্য প্রস্তুত আছি। ইনশাআল্লাহ।’
কক্সবাজার সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রফিকুল ইসলাম জানান, বুধবার (১১ জানুয়ারি) স্ত্রীকে নিয়ে কক্সবাজারে বেড়াতে আসেন আরজে কিবরিয়া। তারা কক্সবাজারের সাইমন হোটেলে ওঠেন। দুপুরে দুজনের মধ্যে কলহ সৃষ্টি হলে ৯৯৯ নম্বরে ফোন দেন কিবরিয়া। পরে এ ঘটনায় থানায় জিডি করেন তিনি।