ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলের ছাত্রী নির্যাতনের তদন্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী ছাত্রলীগ নেত্রী সানজিদা চৌধুরী অন্তরাসহ ৫ ছাত্রীকে সাময়িক বহিষ্কারের আদেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
এ ছাড়া প্রভোস্টকে প্রত্যাহারের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি ইবি হলগুলোর সিসিটিভি মনিটরিং বাড়ানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বরখাস্ত হওয়া ৫ শিক্ষার্থী হলেন- ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি সানজিদা চৌধুরী অন্তরা, পরিসংখ্যান বিভাগের ২০১৭-১৮ সেশনের ছাত্রী হালিমা আক্তার ঊর্মি, ২০২০-২১ সেশনের চারুকলা বিভাগের ছাত্রী, ২০২০-২১ সেশনের আইন বিভাগের ছাত্রী ইসরাত জাহান মিম, অর্থ ও ব্যাংকিং বিভাগ। ২০২০-২১ অধিবেশনের তাবাসসুম ইসলাম ও মোয়াবিয়া জাহান।
আদালতে আবেদনের পক্ষে রাষ্ট্রপক্ষে আবেদনকারীর আইনজীবী গাজী মো. মহসিন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায়।
এর আগে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শেখ হাসিনা হলে ছাত্রীকে নির্যাতনের ঘটনায় ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি অন্তরাসহ অন্তত ছয়জনের বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা পায় তদন্ত কমিটি।
এ ছাড়া প্রভোস্টসহ সংশ্লিষ্টরা দায়িত্ব পালনে চরম অবহেলা এবং প্রক্টরের উদাসীনতার কথা উঠে এসেছে প্রতিবেদনে। প্রতিবেদন উপস্থাপন শেষে আদেশের জন্য আজ দিন ধার্য করেন হাইকোর্ট।
বিশ্ববিদ্যালয় কমিটির প্রতিবেদনে বলা হয়, পরিসংখ্যান বিভাগের ২০২১-২২ সেশনের ছাত্রী ফুলপরী ২০১৭-১৮ সেশনের ছাত্রী সানজিদা চৌধুরীর নির্দেশে র্যাগিং ও শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের শিকার হয়। পরিসংখ্যান বিভাগ।
ত ১১ ফেব্রুয়ারি ইবির দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলে রাত সাড়ে ১১টা থেকে রাত প্রায় ৩টা পর্যন্ত শারীরিক নির্যাতনের শিকার হন প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী ফুলপরী খাতুন। তিনি ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের ছাত্রী।
অভিযোগ ওঠে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সহসভাপতি সানজিদা চৌধুরী অন্তরা ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে। ভুক্তভোগীর অভিযোগ, তারা ওই শিক্ষার্থীকে মারধর করে তার বিবস্ত্র ভিডিও ধারণ করে রাখেন।
এ ঘটনায় ১৩ ফেব্রুয়ারি সকালে ভয়ে হল ছেড়ে বাসায় চলে যান ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী। র্যাগিংয়ের নামে শারীরিক ও মানসিকভাবে হেনস্তার বিচার ও নিরাপত্তা চেয়ে মঙ্গলবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) হল প্রভোস্ট, প্রক্টর ও ছাত্র-উপদেষ্টা দপ্তর বরাবর লিখিত অভিযোগ দেন তিনি।
বিষয়টি নিয়ে হল প্রশাসন ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এবং শাখা ছাত্রলীগ পৃথক তদন্ত কমিটি গঠন করে।
এর মধ্যে বিষয়টি নিয়ে হাইকোর্টে রিট করেন সুপ্রিমকোর্টের এক আইনজীবী।