অভিনেতা আসলাম তালুকদার ওরফে মান্নার আজ ১৫তম মৃত্যুবার্ষিকী। জনপ্রিয়তার তুঙ্গে থাকা অবস্থায় ২০০৮ সালের এই দিনে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে রাজধানীর একটি হাসপাতালে মারা যান এই অভিনেতা। যদিও তার স্ত্রী শেলীর দাবি, ভুল চিকিৎসায় মারা গেছেন মান্না। শেলী নিজেও একজন চিকিৎসকের মেয়ে উল্লেখ করে নানা সময়ে এই মৃত্যুর পেছনে ভুল চিকিৎসার ব্যাখ্যা দিয়েছেন। এখনো তিনি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে আইনি লড়াই লড়ছেন।
মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে মান্নার স্ত্রী শেলী মান্না ও মান্না ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে দোয়ার আয়োজন করা হয়েছে। ভক্ত ও চলচ্চিত্রপ্রেমীরা স্মরণ করছেন তাঁদের প্রিয় অভিনেতাকে।
প্রয়াণ দিবসে মান্নার পরিবারের পক্ষ থেকে মিলাদ মাহফিল ও দোয়ার আয়োজন করা হয়েছে। মান্নার গ্রামের বাড়ি টাঙ্গাইলের এলেঙ্গা উপজেলার কালিহাতীতে দোয়া ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করেছে মান্না ফাউন্ডেশন।
অনেক জনপ্রিয় চলচ্চিত্রের অভিনেতা মান্না। যার জন্য প্রতিনিয়ত মান্নাকে স্মরণ করেন এ দেশের চলচ্চিত্র নির্মাতারা।
চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির সভাপতি সোহানুর রহমান সোহান বলেছিলেন, মান্নার মৃত্যুতে এ দেশের চলচ্চিত্র ইন্ডাস্ট্রির অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে। আজ মান্না বেঁচে থাকলে, আরেক দিকে শাকিব তাহলে চিন্তা করুন কী পরিমাণ চলচ্চিত্র নির্মাণ হতো? সালমান শাহ মারা যাওয়ার পর একটা বড় শূন্যতার সঙ্গে বড় ক্ষতি হয়েছে যেমন, তেমনই মান্নার প্রয়াণের ক্ষেত্রেও একই ঘটনা ঘটেছে।
১৯৮৪ সালে বিএফডিসি আয়োজিত নতুন মুখের সন্ধানে কার্যক্রমের মাধ্যমে মান্না চলচ্চিত্রে আত্মপ্রকাশ করেন। তার প্রথম অভিনীত সিনেমা ‘তওবা’ (১৯৮৪)।
মান্না সাড়ে তিন শতাধিক সিনেমায় অভিনয় করেছেন। তার অভিনীত উল্লেখযোগ্য সিনেমা হচ্ছে- সিপাহী, যন্ত্রণা, অমর, পাগলী, দাঙ্গা, ত্রাস, জনতার বাদশা, লাল বাদশা, আম্মাজান, দেশ দরদী, অন্ধ আইন, স্বামী-স্ত্রীর যুদ্ধ, অবুঝ শিশু, মায়ের মর্যাদা, মা-বাবার স্বপ্ন, হৃদয় থেকে পাওয়া ইত্যাদি।
১৯৬৪ সালে টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার এলেঙ্গায় জন্মগ্রহণ করেন মান্না। মৃত্যুর পর তাকে সেখানেই সমাহিত করা হয়।