দেশের ক্রীড়াঙ্গন এখন সরগরম বডিবিল্ডার জাহিদ হাসানের পুরষ্কারে লাথি দেওয়া নিয়ে। সেই ঘটনাটিই এবার তদন্ত করে দেখছে দেশের যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়।
যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ আহসান রাসেল এমপি বলেন, ‘বিষয়টি আমাদের নজরে এসেছে। তাই প্রকৃত ঘটনা কী, তা খতিয়ে দেখতে তদন্ত করছি আমরা।’
পুরষ্কারে লাথি দেওয়ার ওই ঘটনার তদন্তে দুইজনকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বলেও জানান যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী।
এর আগে, গত শুক্রবার (২৩ ডিসেম্বর) জাতীয় শরীর গঠন প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের সময় জাতীয় ক্রীড়া পরিষদে পুরষ্কারে লাথি দেওয়ার ওই ঘটনা ঘটে। জাহিদ হাসানের ওই ঘটনার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর সেটি নিয়ে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়।
ওই ঘটনার পরপরই বাংলাদেশ বডিবিল্ডিং ফেডারেশন জরুরী সভা ডেকে জাহিদ হাসানকে আজীবন নিষিদ্ধ ঘোষণা করে। পরে বডিবিল্ডার জাহিদ হাসান জানান, তাকে অন্যায়ভাবে দ্বিতীয় করা হয়েছে। পুরস্কার নয়, তিনি দুর্নীতিকে লাথি দিয়েছেন।
এদিকে, ওই ঘটনার তদন্ত প্রসঙ্গে বাংলাদেশ বডিবিল্ডিং ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম গণমাধ্যমকে জানান, ‘এই তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত সত্যটাই উঠে আসবে। প্রতিযোগিতার সময় সেখানে ১১ জন বিচারক ছিলেন। তাদের মধ্যে চারজন আন্তর্জাতিক পর্যায়ের। এছাড়া বাকিরাও জ্যেষ্ঠ জাতীয় বিচারক। তাদের বিচারের ওপর ভিত্তি করেই জাহিদ হাসান দ্বিতীয় হয়েছেন।’