পানামায় একটি অভিবাসীদের বহনকারী বাসটি খাদে পড়ে অন্তত ৩৯ জন প্রাণ হারিয়েছেন বলে জানা গেছে। বাসটির সকল যাত্রী মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পৌঁছানোর আশায় রওনা হয়েছিল।
কোস্টারিকার সীমান্ত-লাগোয়া পানামার পশ্চিমের উপকূলীয় প্রদেশ, চিরিকিতে অবস্থিত একটি আশ্রয়কেন্দ্রের দিকে অভিবাসীদের নিয়ে যাওয়ার সময় বাসটি দুর্ঘটনার কবলে পড়ে।
পানামার অভিবাসন কর্তৃপক্ষের এক কর্মকর্তা বলেছেন, বাসে মোট ৬৬ জন যাত্রী ছিল। আহত হয়েছেন প্রায় ২০ জন। আহতদের বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তবে নিহতদের জাতীয়তা প্রকাশ করা হয়নি।
হাজার হাজার অভিবাসী তাদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পানামার জলাভূমি দারিয়েন গ্যাপ অতিক্রম করে আসছে। গত বছরই এই সংখ্যা ছিল রেকর্ড পরিমাণ, ২ লক্ষ ৪৮ হাজার। অভিবাসীদের অধিকাংশই ভেনেজুয়েলার। এছাড়া হাইতি এবং কিউবা থেকে আসা অভিবাসীরাও এই তালিকায় রয়েছে।
এই দুর্ঘটনাটি পানামার ইতিহাসে অভিবাসীদের সঙ্গে জড়িত সবচেয়ে ‘ভয়াবহ দুর্ঘটনা’ বলে জানা গেছে। কিছু প্রতিবেদনে একটি মিনিবাসের সঙ্গে সংঘর্ষের কথা বলা হয়েছে। তবে চালক কেন বাসের নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছিলেন তা এখনো স্পষ্ট নয়।
পানামার প্রেসিডেন্ট লরেন্টিনো কর্টিজো বলেছেন, ‘সরকার এই দুর্ঘটনায় নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাই। এ ধরনের অভিবাসন মোকাবেলায় মানবিক সহায়তা এবং উপযুক্ত শর্ত প্রদান অব্যাহত রাখার প্রতিশ্রুতি করছি।’
তিনি আরো জানান, পানামা সরকার বাস দুর্ঘটনায় আহতদের চিকিৎসা দিচ্ছে।