চট্টগ্রাম নগরের কাট্টলী নুরুল হক চৌধুরী উচ্চবিদ্যালয়–সংলগ্ন এলাকায় খোলাবাজারে পণ্য বিক্রির (ওএমএস) সারিতে দাঁড়িয়েছেন মা হাদিজা আক্তার, কিন্তু শেষ পর্যন্ত প্রয়োজনীয় পণ্য কিনতে পারেননি তিনি। তিন দিন যাবত এভাবেই খালি হাতে ফিরতে হয়েছে।
হাদিজা জানান, চাল আর আটা কিনতে ভোর ছয়টায় এসে সারিতে দাঁড়িয়েছেন তিনি। গত রোববার থেকে পণ্য কিনতে এলেও পাননি কাঙ্ক্ষিত পণ্য। শুধু হাদিজা নন, আরও অনেকেই পণ্য না পেয়ে ফিরে যাচ্ছেন। পণ্য নিতে এসে লাইনে দাঁড়িয়ে থেকে ক্লান্ত হয়ে বসে পড়েছেন পাশের বিদ্যালয় মাঠে।
পাহাড়তলী থানার ওএমএস ডিলার নাজির উদ্দিন চৌধুরী। উত্তর কাট্টলী এলাকায় তাঁর বিক্রয়কেন্দ্র ‘মেসার্স নাজিম স্টোর’। সেখানেই খাদ্য অধিদপ্তরের বিক্রয় আদেশ অনুযায়ী প্রতিদিন দেড় মেট্রিক টন চাল ও এক মেট্রিক টন আটা বিক্রি বরাদ্দ রয়েছে। কিন্তু সারিতে দাঁড়িয়ে থাকা প্রত্যেকের অভিযোগ গত তিন দিন ধরেই তাঁরা পণ্য পাচ্ছেন না। ভোর থেকে অপেক্ষা করেও মিলছে না চাল ও আটা।
এ বিষয়ে নাজির উদ্দিন বলেন, খাদ্য অধিদপ্তর থেকে সপ্তাহে পাঁচ দিন বরাদ্দ থাকলেও পণ্য পাওয়া যায় তিন দিন ধরে। তাই কয়েক দিন বিক্রি বন্ধ থাকে। তবে দোকানে আজ পণ্য পাওয়া যাবে বলে জানান তিনি।
আট মাসের শিশুসন্তানকে নিয়ে নয়াবাজার এলাকায় চালের জন্য সারিতে দাঁড়িয়েছেন পারভিন আক্তার। তিনজনের সংসার তাঁদের। পোশাক শ্রমিক স্বামীর আয়ে মাস চলতে হিমশিম খেতে হয়। ওএমএস পণ্যই তাঁদের কাছে ভরসা। তাই ভোর থেকে ছোট্ট শিশুকে কোলে নিয়ে এই শীতের মধ্যেও সারিতে দাঁড়িয়েছেন। সারিতে প্রথম ১০ জনের মধ্যে থাকায় আশা করছেন আজ পণ্য হাতে ফিরতে পারবেন তিনি।