পাঁচ দিনের ভারী বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে কক্সবাজারের ৯ উপজেলার ৬০ ইউনিয়নের শতাংশ গ্রামে অন্তত তিন লাখ মানুষ পানিবন্দি বিপর্যস্ত করেছে। এই পানিবন্দি আবহাওয়া সম্প্রসারিত গ্রামগুলিতে খাদ্য ও পানির অভাব হয়েছে। পাথরে বিদ্যুতসংযোগ সহ রাস্তা অবৈধ হয়ে গিয়ে পানিতে ডুবে গিয়ে এসব গ্রামের লোকেরা বিপর্যস্ত!
এই দুর্যোগে মাতামুহুরী, বাঁকখালী ও ঈদগাঁও নদীর বাঁধগুলি ভেঙে গেছে। এই বাঁধগুলির ভেঙে যাওয়া সাথে পানি অনেক গ্রামে প্রবাহিত হয়ে গিয়েছে। প্রাথমিক হিসাবে ৫১ কিলোমিটার আঞ্চলিক সড়ক এবং ৭ কিলোমিটার মহাসড়ক এই দুর্যোগে আঘাত পেয়েছে। জেলা প্রশাসন দাবি করে, অতিরিক্ত ৫৮ টন চাল ও ৭ লাখ টাকা বিতরণ করা হয়েছে এবং আরও সাহায্য প্রদান করা হচ্ছে।
এই ভারী বৃষ্টির ফলে কক্সবাজার-চট্টগ্রাম সড়কে দূরপাল্লা যানবাহন চলাচল স্থগিত হয়ে গিয়েছে। আগেও বান্দরবান সড়কে বাজালিয়া এলাকায় পানি বাধা দেয়ার জন্য যোগাযোগ বন্ধ হয়ে ছিল। এছাড়া, সামুদ্রিক জোয়ারের এলাকায় মেরিন ড্রাইভ, কক্সবাজার সমুদ্রসৈকত, সুগন্ধা পয়েন্ট, মহেশখালী এবং কুতুবদিয়া উপজেলার উপকূলীয় এলাকায়ও বিপর্যস্তির চিহ্ন দেওয়া হয়েছে।
কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) বিভীষণ কান্তি দাশ বলেছেন, এই পানিবন্দি দুর্গত লোকদের জন্য ২০৮টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। এই পর্যন্ত তিনটি উপজেলায় প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে এবং বেশ কয়েক কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে।