র‍্যাব সদর দপ্তরে বুয়েটের শিক্ষার্থীরা ফারদিনের মৃত্যুর কারণে

prothomalo bangla 2022 11 1553b229 0d02 4d08 b147 9fa7cb473db4 102249NARAYANGONJ DH0777 20221107 20221107 220149 jpg - Dainik Bhashwakar
Spread the love

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী ফারদিন নূর ‘স্বেচ্ছায় মৃত্যুবরণ’ করেছেন বলে মামলার ছায়া তদন্তকারী সংস্থা র‍্যাব যে দাবি করেছে, সেই তথ্যপ্রমাণ দেখতে এবার র‍্যাব সদর দপ্তরে গেছেন তাঁর বন্ধু ও সহপাঠীরা। আজ শুক্রবার বিকেল চারটার দিকে তাঁরা সেখানে যান।

গত বুধবার রাতে এক সংবাদ সম্মেলনে র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেছিলেন, ঘটনার দিন (৪ নভেম্বর দিবাগত রাত) ২টা ২৬ মিনিটে ফারদিন সুলতানা কামাল সেতুর তারাব প্রান্তে ছিলেন। ২টা ৩৪ মিনিটে তিনি সেতুর মাঝামাঝি স্থানে আসেন। ওই সময় তিনি সেতু থেকে স্বেচ্ছায় নদীতে ঝাঁপ দেন। রাত ২টা ৩৫ মিনিটে তাঁর মুঠোফোন বন্ধ হয়। ২টা ৫১ মিনিটে তাঁর হাতের স্মার্ট ওয়াচ (ঘড়ি) পানি ঢুকে অকার্যকর হয়ে যায়।

ফারদিন কেন স্বেচ্ছায় নদীতে লাফ দিয়েছিলেন—এমন প্রশ্ন করা হলে সরাসরি কোনো উত্তর দেননি খন্দকার আল মঈন। তিনি বলেন, তাঁরা কয়েকটি বিষয় তদন্ত সংস্থাকে (ডিবি) জানিয়েছেন।

এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) কার্যালয়ে যান বুয়েটের শিক্ষার্থীরা। সেখানে তদন্ত কর্মকর্তাদের সঙ্গে প্রায় দুই ঘণ্টা আলোচনা করেন তাঁরা। বৈঠক শেষে শিক্ষার্থীরা সাংবাদিকদের বলেন, ‘কিছু কিছু জায়গায় গ্যাপ আছে, কিছু অস্পষ্টতা আছে। এগুলো আরও পরিষ্কার হওয়া দরকার।’

বুধবার বিকেলে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) জানায়, ফারদিন ডেমরার সুলতানা কামাল ব্রিজ থেকে লাফ দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। আত্মহত্যার কারণ হিসেবে ডিবি পারিবারিক চাপ, দুই ভাইয়ের পড়াশোনার টাকা জোগানো, ধারাবাহিকভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষার ফল খারাপ হওয়া ও বিতর্ক প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে স্পেনে যাওয়ার টাকা সংগ্রহ করতে না পারাকে উল্লেখ করে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *