রান্নার স্বাদ পূর্ণতা পায় না আদা ছাড়া। শুধু আদা খাবারে স্বাদ বৃদ্ধি করে না, স্বাস্থ্যের বিভিন্ন সমস্যা নিরসণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। শরীরে প্রতিরোধ ক্ষমতাও বাড়ায়। পাশাপাশি খুশকি সারাতেও রাখে অবদান। অনেকে খুশকি সমস্যায় ভোগেন। তারা আদার সঠিক ব্যবহার করলে অনেকটাই খুশকি সমস্যা লাঘব হবে। তাই সবার এ সম্পর্কে ধারণা রাখা উচিত।
সাধারণত চুল পড়ে ব্যাকটেরিয়াল প্রতিশোধক কমে গেলে। সে ক্ষেত্রে আদার রসে প্রচুর অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল আছে। শুধু তাই নয়, অ্যান্টিমাইক্রোবিয়ালও আদার রসে পাওয়া যায়। এর ফলে মাথায় ইনফেকশন দূর হয় এবং মাথার ত্বকও সুস্থ রাখে। চুল পড়াও রোধ হয়।
এ ছাড়া আদা অ্যান্টিফাঙ্গাল এবং অ্যান্টিসেপটিকের ভূমিকা পালন করে। এর ফলে আদা খুশকি তাড়াতে কার্যকরি ভূমিকা রাখে। এটি মাথার খুলিতে রক্তসঞ্চালনও বাড়ায়। আদার রস মাথার ত্বকে ভালোভাবে লাগাতে হবে। লেবুর রসের সঙ্গেও আদার রস মিশিয়ে লাগালে ভালো উপকার মিলে।
ময়েশ্চারজাতীয় শ্যাম্পুতে এক চামচ আদার রস ভালো করে মিশিয়ে চুলে লাগাতে হবে। কিছুক্ষণ রাখার পর ধুয়ে ফেলতে হবে। এতে শুধু খুশকিই দূর করবে না, পাশাপাশি মাথায় ধুলো-ময়লা থেকেও চুল পরিষ্কার রাখবে।
আদা মিশ্রিত তেল খুশকি দূর করতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে। নারিকেল তেলের সঙ্গে আদা মিশিয়ে মাথায় লাগান। এই তেল অনেক দিন পর্যন্ত সংরক্ষণ করা যেতে পারে। নিয়মিত এই তেল ব্যবহার করলে খুশকি থেকে মুক্তি মিলবে।
চালের জলের সঙ্গে আদা মিশিয়ে মাথায় লাগাতে হবে। খুশকির চিকিৎসায় দারুণ কার্যকর এই মিশ্রণ। এই জল দিয়ে মাথা ধুয়ে ফেলতে হবে। এতে চুলের সৌন্দর্য ফিরবে, পাশাপাশি খুশকি সমস্যাও সারবে।
হেয়ার মাস্ক চুলে আর্দ্রতা বজায় রাখে এবং চুলকে ক্ষতি হওয়া থেকে বাঁচায়। হেয়ার মাস্কে আদার রস মিশিয়ে মাথায় লাগান। এই মিশ্রণ ভেতর থেকে চুলে পুষ্টি জোগায় এবং খুশকিও সারায়।