তরুণ ওপেনার শুভমান গিলের (২০৮) ডাবল সেঞ্চুরিতে ৩৪৯ রানের পাহাড় গড়েও পরাজয়ের শঙ্কায় পড়েছিল ভারত; কিন্তু শার্দুল ঠাকুরের বুদ্ধিদীপ্ত বোলিংয়ে শঙ্কা উড়িয়ে জয় নিশ্চিত করে স্বাগতিকরা।
শেষ ওভারে জয়ের জন্য নিউজিল্যান্ডের প্রয়োজন ছিল ২০ রান। মাইকেল ব্রেসওয়েল প্রথম বলে ছক্কা হাঁকিয়ে দলকে জয়ের পথেই রাখেন।
পরের বলে বাউন্স দেন শার্দুল ঠাকুর। আম্পায়ার ওয়াইডের শঙ্কেত দেওয়ার পাশাপাশি ওয়ান বাউন্স দেন। দ্বিতীয় বলটি ঠিক ব্রেসওয়েলের পায়ের গোড়ালিতে মারেন শার্দুল। আম্পায়ার সঙ্গে সঙ্গে এলবিডব্লিউ আউট দেন। রিভিও নিয়েও শেষ রক্ষা হয়নি।
শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে আউট হওয়ার আগে ৭৮ বলে ১২টি চার আর ১০টি ছক্কার সাহায্যে ১৪০ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেলেন মাইকেল ব্রেসওয়েল। তার আউটের মধ্য দিয়ে ৪৯.২ ওভারে ৩৩৭ রানে অলআউট হয় নিউজিল্যান্ড। ১২ রানের জয়ে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে ১-০তে এগিয়ে যায় স্বাগতিক ভারত।
বুধবার হায়দরাবাদের রাজিব গান্ধী স্টেডিয়ামে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করে স্বাগতিক ভারত। এদিন ইনিংস ওপেন করতে নেমে শেষ ওভারের দ্বিতীয় বলে আউট হওয়ার আগে ১৪৯ বল মোকাবেলা করে ১৯টি চার আর ৯টি ছক্কার সাহায্যে ক্যারিয়ার সেরা ২০৮ রান করেন শুভমান।
শুভমানের ডাবল সেঞ্চুরি আর রোহিত শর্মার ৩৮ বলের ৩৪, সূর্যকুমারের ২৬ বলের ৩১ রানে ভর করে ৮ উইকেটে ৩৪৯ রানের পাহাড় গড়ে ভারত।
৩৫০ রানের বিশাল টার্গেট তাড়া করতে নেমে ১৩১ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে ম্যাচ থেকে কার্যত ছিটকে যায় নিউজিল্যান্ড। দলের নিশ্চিত পরাজয় জেনেও বুক চিতিয়ে লড়াই করে গেছেন মাইকেল ব্রেসওয়েল ও মিচেল স্যান্টনার। তাদের দায়িত্বশীলতায় খেলায় ফেরার পাশাপাশি জয়ের স্বপ্ন দেখে কিউইরা। সপ্তম উইকেটে তারা ১০২ বলে ১৬২ রানের জুটি গড়ে দলকে জয়ের কাছাকাছি নিয়ে যান। এই জুটিতেই সেঞ্চুরি তুলে নেন ব্রেসওয়েল। আর ফিফটি হাঁকান স্যান্টনার।
জয়ের জন্য শেষ ৩০ বলে নিউজিল্যান্ডের প্রয়োজন ছিল ৫৯ রান। ১০৭ ও ৫৬ রানে অপরাজিত থেকে দলকে জয়ের স্বপ্ন দেখিয়ে যাচ্ছিলেন ব্রেসওয়েল ও স্যান্টনার।
৪৬তম ওভারে মোহাম্মদ সিরাজের করা চতুর্থ বলে বাউন্ডারি হাঁকাতে গিয়ে ক্যাচ তুলে দেন স্যান্টনার। তিনি ৪৫ বলে সাত চার আর এক ছক্কায় ৫৭ রান করে ফেরেন। পরের বলে ওয়াইড দেন সিরাজ। পঞ্চম বলে বোল্ড হয়ে যান নতুন ব্যাটসম্যান হেনরি শিপলি।
পরপর দুই ব্যাটসম্যানের উইকেট হারিয়ে ফের চাপের মুখে পড়ে যায় নিউজিল্যান্ড। নবম ব্যাটসম্যান হিসেবে ব্যাটিংয়ে নেমে ব্রেসওয়েলকে ভালোই সঙ্গ দেন পেসার লুকি ফার্গুসন। নবম উইকেটে ১৬ বলে তারা যোগ করেন ৩৪ রান।
জয়ের জন্য শেষ ১২ বলে নিউজিল্যান্ডের প্রয়োজন ছিল ২৪ রান। ৪৯তম ওভারে তৃতীয় বলে ক্যাচ তুলে দিয়ে ফেরেন ফার্গুসন। ওই ওভারে এক উইকেট হারিয়ে নিউজিল্যান্ড করতে পারে মাত্র ৪ রান।
জয়ের জন্য শেষ ওভারে প্রয়োজন ছিল ২০ রান। শার্দুল ঠাকুরের করা ওভারের প্রথম বলে ছক্কা হাঁকান ব্রেসওয়েল। দ্বিতীয় বলে ব্রেসওয়েল আউট হলে তীরে গিয়ে তরী ডুবে নিউজিল্যান্ডের।