লক্ষ্মীপুর ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় উপ-নির্বাচন গেজেট প্রকাশ স্থগিত

nirbachon-ec
Spread the love

লক্ষ্মীপুর-৩ ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনে উপ-নির্বাচনের কারচুপির অভিযোগ এনেছেন প্রার্থীরা। অভিযোগ পেয়ে ওই দুই সংসদীয় আসনের উপ-নির্বাচনের ফলাফলের গেজেট প্রকাশ স্থগিত করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

মঙ্গলবার বিকালে এক সংবাদ সম্মেলনে কমিশন সচিব জাহাংগীর আলম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনে অনুষ্ঠিত উপনির্বাচনে পরাজিত স্বতন্ত্র প্রার্থী জিয়াউল হক মৃধা বর্তমান নির্বাচন কমিশনকে অদক্ষ আখ্যা দিয়ে উপনির্বাচনে স্থূল কারচুপির অভিযোগ তুলেছেন। সোমবার দুপুরে সরাইল উপজেলার কালীকচ্ছ বাজারে জাতীয় পার্টির দলীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে তিনি এ অভিযোগ করেন। সেই সঙ্গে বর্তমান নির্বাচন কমিশন দিয়ে আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে পরিচালনা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তিনি।

রোববার ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনে দ্বিতীয়বারের মতো উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী শাহজাহান আলম নৌকা প্রতীক নিয়ে ৬৬ হাজার ৩১৪ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী জিয়াউল হক মৃধা কলার ছড়ি প্রতীকে পেয়েছেন ৩৭ হাজার ৫৫৭ ভোট।

এদিকে, লক্ষ্মীপুর-৩ আসনের উপ-নির্বাচনে অনিয়ম ও কারচুপির অভিযোগ তুলে ভোট বর্জনের ঘোষণা দেন দুই প্রার্থী।  

রোববার দুপুর দেড়টার দিকে লক্ষ্মীপুর প্রেস ক্লাবে এসে জাতীয় পার্টির প্রার্থী মোহাম্মদ রাকিব হোসেন ও দুপুর ২টার দিকে জাকের পার্টির প্রার্থী শামসুল করিম খোকন ভোট বর্জনের ঘোষণা দেন।

জাতীয় পার্টির প্রার্থী লাঙ্গল প্রতীকের রাকিব হোসেন অভিযোগ করে বলেন, সকাল থেকে ভোটকেন্দ্রগুলোতে আওয়ামী লীগের লোকজন ব্যাপক জাল ভোট দিয়েছে। ভোটারবিহীন ফাঁকা ভোটকেন্দ্র হলেও ব্যালট কাটা হচ্ছে।  

এদিকে একই ধরনের অভিযোগ এনে জাকের পার্টির গোলাপ ফুল প্রতীকের প্রার্থী শামসুল করিম ভোট বর্জনের ঘোষণা দিয়ে বলেন, ১১৫টি ভোটকেন্দ্রের মধ্যে সকাল থেকে আমি ৩৫টি কেন্দ্র ঘুরে দেখেছি। এসব কেন্দ্রে নৌকা প্রতীকের কর্মী-সমর্থকরা অনিয়ম ও কারচুপি করেছে। আমার এজেন্টদের বের করে দিয়েছে। তাই আমি ভোট বর্জন করেছি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *