কিভাবে নতুন উপায়ে ট্রেনের টিকিট কিনবেন বিস্তারিত জানুন

Komolapur-railway-collected
Spread the love

রাজধানীর কমলাপুর রেলস্টেশনে ট্রেনের টিকিট কেনার নতুন কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন।

বুধবার সকালে তিনি এ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন। এ সময় ট্রেনের টিকিট বিক্রির কালোবাজারি রোধে রেলওয়ে কর্মকর্তাদের কাছে পিওসি (পয়েন্ট অব সেলস) মেশিন হস্তান্তর করেন রেলমন্ত্রী।

নতুন নিয়ম অনুযায়ী, শুধু অনলাইনে নয়, কাউন্টার থেকেও ট্রেনের টিকিট কিনতে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। একাউন্ট খুলতে হবে। এটি কাউন্টারে, অনলাইনে এবং অ্যাপের মাধ্যমে করা যেতে পারে। ইন্টারনেট সুবিধা ছাড়া যাত্রীরা সাধারণত মোবাইল ফোন থেকে এসএমএসের মাধ্যমে অ্যাকাউন্ট খুলতে পারেন। যারা ইতিমধ্যে রেলওয়ে ওয়েবসাইটে নিবন্ধন করেছেন তাদের সাইন ইন করে জন্ম শংসাপত্র আপলোড করতে হবে। আর যাদের পূর্বে নিবন্ধন নেই, একেবারে নতুন, তাদের অবশ্যই প্রথমে ওয়েবসাইট ভিজিট করে সাইন আপ করতে হবে এবং জাতীয় পরিচয়পত্র আপলোড করে নিবন্ধন সম্পন্ন করতে হবে।

পুরনো নিবন্ধনকারীদের ক্ষেত্রে

ধাপ-১: বর্তমান username এবং Password দিয়ে https://etiket,railway.gov.bd-এ প্রবেশ করে BR <space> NID নম্বর space ticket.railway.gov.bd তে অথবা rail sheba app-এ সাইন-ইন করতে হবে।

ধাপ-২: NID নম্বর এবং জন্ম তারিখ লিখে verify বাটনে ক্লিক করতে হবে। এরপর NID নম্বর জন্ম তারিখ সঠিকভাবে প্রবেশ করালে যদি NID নম্বরটি পূর্বে ব্যবহার করা না হয়ে থাকে তা হলে নিবন্ধন প্রক্রিয়া সফলভাবে সম্পন্ন হবে।

নতুন নিবন্ধনকারীদের ক্ষেত্রে

https://eticket.railway.gov.bd ওয়েবসাইট অথবা rail sheba app-এ সাইনআপ করতে হবে এবং সঠিক NID নম্বর জন্ম তারিখ verify পূর্বক অন্যান্য তথ্য দিয়ে নিবন্ধন প্রক্রিয়া শেষ করতে হবে।

অফলাইন নিবন্ধন

মোবাইল থেকে মেসেজ অপশনে গিয়ে BR <space> NID নম্বর <space> জন্ম তারিখ (সাল-মাস-দিন) লিখে পাঠাতে হবে ২৬৯৬৯ নম্বরে। ফিরতি এসএমএসে রেলওয়ে জানাবে নিবন্ধন সফল হয়েছে কিনা। সফল হলে অ্যাকাউন্ট নম্বর জানাবে। এর পর ওই অ্যাকাউন্টের বিপরীতে এনআইডি দেখিয়ে স্টেশনে কাউন্টার থেকে টিকিট কেনা যাবে।

বিদেশি নাগরিকরা পাসপোর্ট দিয়ে অ্যাকাউন্ট করতে পারবেন। একটি এনআইডি বা জন্মনিবন্ধনের বিপরীতে সর্বোচ্চ চারটি টিকিট সংগ্রহ করা যাবে। একটি নম্বর দিয়ে প্রতিদিন একবারই টিকিট কাটা যাবে। এ ছাড়া ভ্রমণের সময় যাত্রীকে এনআইডি বা জন্মনিবন্ধন সনদ বা পাসপোর্টের ছবিসংবলিত নিজস্ব প্রতিষ্ঠানের আইডি কার্ড সঙ্গে রাখতে হবে। আরও দরকার হবে তাদের ই-মেইল নম্বর। থাকতে হবে ইন্টারনেট সম্পর্কে ধারণা ও স্মার্টফোন পরিচালনার জ্ঞান।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *