বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার বন্ধু গিয়াস উদ্দিন আল মামুনের বিদেশে পাচার করা ৫০০ কোটি টাকার সন্ধান মিলেছে বলে দাবি করেছেন জাতীয় সংসদের হুইপ এবং আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন। তিনি বলেন, পাচার করা ওই টাকা যে ব্যাংকের ভল্টে রয়েছে সেটা তারেক রহমান এবং মামুনের আই কন্টাক্ট ছাড়া বের করা সম্ভব হচ্ছে না। ফলে টাকাটা এখনো ফেরত আনা যাচ্ছে না।
স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে রোববার জাতীয় সংসদে রাষ্ট্রপতির ভাষণ সম্পর্কে আনীত ধন্যবাদ প্রস্তাবের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এমন দাবি করেন। আলোচনায় অন্যদের মধ্যে মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন্নেসা ইন্দিরা, সরকারি দলের অধ্যাপক ডা. প্রাণ গোপাল দত্ত, নুরুন্নবী চৌধুরী শাওন, উম্মে কুলসুম স্মৃতি, জাকিয়া পারভীন খানম, মমতা হেনা লাভলী এবং জাতীয় পার্টির সংসদ-সদস্য শরিফুল ইসলাম জিন্নাহ বক্তব্য দেন।
১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় এসে আওয়ামী লীগ বিদ্যুৎ উৎপাদন ৪৩০০ মেগাওয়াটে উন্নীত করেছিল মন্তব্য করে হুইপ স্বপন বলেন, বিএনপির আমলে খালেদা জিয়ার ছেলে তারেক রহমান এবং তার বন্ধু মামুনের লুটপাটের কারণে, খাম্বা তারেকের লুটপাটের কারণে এই বিদ্যুৎ উৎপাদন ৪৩০০ থেকে ৩২০০ মেগাওয়াটে নেমে এসেছিল। আজকে বাংলাদেশ ২৫ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করছে।
তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর পাচার করা ৪০ কোটি টাকা এফবিআই’র সহায়তায় বাংলাদেশ ফেরত এনেছে। তারেক ও মামুনের আরও টাকার সন্ধান পাওয়া গেছে। বিদেশের একটি ব্যাংকে তাদের ৫০০ কোটি টাকার সন্ধান পাওয়া গেছে। কিন্তু ওই ব্যাংকের যে ভল্টে তারা টাকা রেখেছে, তাদের আই কন্টাক্ট ছাড়া সেই টাকা ভল্ট থেকে বের করা সম্ভব নয়। ফলে টাকা এখনো ফেরত আনা যাচ্ছে না।
হুইপ বলেন, শুধু তারেক আর মামুন নয়, বিএনপির অনেক নেতার বিভিন্ন দেশে টাকার হদিস পাওয়া গেছে। তদন্ত চলছে। এ কারণে এই মুহূর্তে আমরা এটি সংসদে উপস্থাপন করতে পারছি না। তবে অচিরেই তারেক-মামুনসহ বিএনপি নেতাদের এসব পাচারকৃত টাকার তথ্য জাতির সামনে উপস্থাপন করা হবে এবং এ টাকাগুলো অবশ্যই ফিরিয়ে এনে জাতীয় অর্থনীতিতে যোগ করা হবে।
‘বিএনপি নেতাদের মুখে গুম-খুনের কথা শুনলে জনগণও হাসে’ : বিএনপি-জামায়াতের সমালোচনা করে সংসদ-সদস্য নুরুন্নবী চৌধুরী শাওন বলেন, যারা ক্ষমতায় থেকে দেশকে অকার্যকর, জঙ্গি রাষ্ট্র, তালেবানি রাষ্ট্র বানাতে চেয়েছিল, হাওয়া ভবনে বসে আওয়ামী লীগের সমাবেশে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা করে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনাকে হত্যা করতে চেয়েছিল-তাদের মুখে মানবতার কথা ভূতের মুখে রাম নামের মতোই। বিএনপি নেতাদের মুখে গুম-খুনের কথা শুনলে জনগণও হাসে।
জাতীয় পার্টির শরিফুল ইসলাম জিন্নাহ বলেন, দেশে অনেক উন্নয়ন হয়েছে কিন্তু বর্তমান অবস্থা সম্পূর্ণ ভিন্ন। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে সৃষ্ট বৈশ্বিক সংকটের প্রভাব আমাদের দেশেও পড়েছে। মূল্যস্ফীতি এখন সামান্য কমলেও ডলারের দাম বেড়েই চলেছে। মনিটরিংয়ের অভাবে ভোগপণ্যের বাজার নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে পড়েছে। এতে দেশের মানুষ চরম ভোগান্তিতে পড়েছে।