পূর্ব সুন্দরবনের শরণখোলা রেঞ্জের চান্দেশ্বর টহল ফাঁড়ি এলাকায় দুটি রয়েল বেঙ্গল টাইগার ২০ ঘণ্টা অবস্থান করার পর তারা গভীর বনে চলে গেছে। শুক্রবার (৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুর থেকে ওই টহল ফাঁড়ি এলাকায় একসঙ্গে জোড়া বাঘ পুকুর পাড়ে ও রান্না ঘরের পাশে প্রায় ২০ ঘণ্টা অবস্থান করে চলে যায়।
এ সময় টহল ফাঁড়ির বনরক্ষীরা মূলত অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে। বর্তমানে বাঘের প্রজনন মৌসুম হওয়ায় বাঘ ও বাঘিনী একত্রে ওই এলাকায় চলে এসেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
বন বিভাগের চান্দেশ্বর টহল ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. ফারুক হোসেন জানান, শুক্রবার দুপুর ২টার দিকে তাদের অফিসের পাশের পুকুর পাড়ে দুইটি রয়েল বেঙ্গল টাইগার দেখে তারা প্রথমে আতঙ্কিত হয়ে পরেন। পরে তারা বাঘ দুটির গতিবিধি লক্ষ্য করতে থাকেন তারা। এরপর বাঘ দুটি দীর্ঘক্ষণ একই জায়গায় অবস্থান করে এবং পুকুরের পানি পান করে অফিস এলাকায় ঘোরাফেরা করতে দেখা যায়।
তিনি জানান, তারা দূর থেকে বাঘ দুটির ছবি তোলেন এবং এরপর বিষয়টি তারা বন বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানান। এসময় তারা সর্বোচ্চ সতর্কাবস্থায় থাকেন।
তিনি আরও জানান, বাঘ দুটি শুক্রবার রাতে তাদের রান্না ঘরের পাশে অবস্থান করে শনিবার সকাল ১০টার দিকে গভীর বনে চলে যায়।
বন বিভাগের শরণখোলা রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. সামসুল আরেফিন জানান, বর্তমানে বাঘের প্রজনন মৌসুম চলছে। এ সময় সাধারনত বাঘ ও বাঘিনী একত্রে চলাফেরা করে। এছাড়া বাঘের সংখ্যাও বৃদ্ধি পাওয়ায় প্রায়ই এখন পর্যটক ও বনরক্ষীরা বাঘ দেখতে পাচ্ছে। তবে বাঘ যাতে নিরাপদে বিচরণ করতে পারে এবং কেউ যাতে বিরক্ত না করে সে ব্যপারে বনরক্ষীরা সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।