আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সাবেক সদস্য ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি আলহাজ্ব আবুল হাসনাতের দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকী আজ (১৭ ফেব্রুয়ারি)। এ উপলক্ষে সকালে রাজধানীর আজিমপুর কবরস্থানে তার কবরে শ্রদ্ধা নিবেদন, দোয়া ও আলোচনা সভার আয়োজন করে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের কেন্দ্রীয় কমিটি।
এছাড়া কামরাঙ্গীর চরে আলামিন মাদ্রাসায় এতিম শিক্ষার্থীদের জন্য নৈশভোজের আয়োজন করা হয়।
আবুল হাসনাত শারীরিকভাবে অসুস্থ থাকায় তার কবরে তার পক্ষে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও মুখপাত্র অরুণ সরকার রানা। এ সময় আবুল হাসনাতের ছোট ছেলে ও আলহাজ্ব আবুল হাসনাত মেমোরিয়াল ট্রাস্টের চেয়ারম্যান, চকবাজার থানা আওয়ামী লীগ নেতা রাহাদুল হাসনাত বায়েজিদ, লালবাগ থানা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক হানিফ রেজা, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি ও বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা জানান। বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের পক্ষ থেকে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শ্রদ্ধা জানানো হয়। সাংস্কৃতিক জোটের কেন্দ্রীয় কমিটির তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক আশরাফুজ্জামান মিতু, চকবাজার থানা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক রাজ আহমেদ, কামরাঙ্গীর চর থানা বঙ্গবন্ধু শিক্ষা ও গবেষণা পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক মোহাম্মদ মিতু আহমেদ, অর্থ সম্পাদক মাসুদ রানা সৈকত, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. প্রচার সম্পাদক রুবেল শিকদার, সমাজকল্যাণ সম্পাদক ইসমাইল হোসেন ও চাম্পাতলী যুব সংঘের সাংগঠনিক সম্পাদক রমজান আলী দ্বীপ।
পরে আবুল হাসনাতের রুহের মাগফিরাত কামনা করে দোয়া করা হয় এবং তার রাজনীতি ও জীবন নিয়ে আলোচনা করা হয়।
আবুল হাসনাতের রাজনৈতিক জীবন অনুধাবন করে বক্তারা বলেন, আবুল হাসনাত প্রায় পাঁচ বছর ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের প্রথম নির্বাচিত সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন এবং কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সর্বোচ্চ ফোরাম উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি বৃহত্তর লালবাগ থানা আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি এবং দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে এই থানার সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। এর আগে তিনি লালবাগ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন।
১৯৬৯ সালের গণঅভ্যুত্থানে একজন ছাত্রনেতা হিসেবে আবুল হাসনাত অসামান্য অবদান রাখেন। তিনি স্বাধীনতার অন্যতম সংগঠক ছিলেন। তরুণ হাসনাত ৭৫ সালের পর দীর্ঘ সময় নির্যাতনের শিকার হন। স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনেও তিনি সোচ্চার ছিলেন। ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় তিনি আহত হন। ১/১১-এর তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়ও তিনি হয়রানি ও ষড়যন্ত্র মামলার শিকার হন।