গত ৫ দিনে তুরস্ক ও সিরিয়া থেকে উদ্ধারকৃত মৃতদেহের সংখ্যা পৌঁছেছে প্রায় ২৪ হাজারে। ইট-কংক্রিটের স্তূপের মধ্যে জীবিত অথবা মরদেহের সন্ধানে এখনও চলছে উদ্ধারকাজ। (রয়টার্সের)
এর মধ্যে তুরস্কে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২০ হাজার ২১৩ জনে।দেশটিতে আহত হয়েছে ৮০ হাজার ৫২ জন। দেশটির স্বাস্থ্যমন্ত্রী ফাহরেত্তিন কোসা এ তথ্য জানান। তুরস্কে এখনো বহু মানুষ ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে আছেন। ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে পড়াদের উদ্ধারে উদ্ধারকর্মীরা প্রাণপণ প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন।
৬ ফেব্রুয়ারি সোমবার স্থানীয় সময় ভোর ৪টা ১৭ মিনিটে ৭ দশমিক ৮ মাত্রার ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে তুরস্ক ও তার প্রতিবেশী দেশ সিরিয়া। ওই ভূমিকম্পের ১৫ মিনিট পর ৬ দশমিক ৭ মাত্রার আরও একটি বড় ভূমিকম্প এবং পরে অনেকগুলো আফটারশক হয়।
যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা ইউএসজিএসের তাৎক্ষণিক এক বিবৃতিতে বলা হয়, তুরস্কের দক্ষিণাঞ্চলীয় কাহরামানমারাশ প্রদেশের গাজিয়ানতেপ শহরের কাছে ভূপৃষ্ঠের ১৭ দশমিক ৯ কিলোমিটার গভীরে ছিল ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল।
গোটা জনপদই এখন মৃত্যুপুরী। দুমড়ে-মুচড়ে মুখ থুবড়ে পড়ে আছে সারি সারি মৃত্যুকূপ। যেন নিস্তব্ধ গণকবর। কোনো শব্দ নেই, আর্তনাদ নেই, চিৎকার নেই। আত্মীয়স্বজন-উদ্ধারকারীরা সবাই কান পেতে আছে একটা চাপা ধ্বনির জন্য। ছোট্ট একটা আওয়াজ, একটু শব্দ, একটু নড়াচড়ার জন্য ধ্বংসস্তূপগুলোর গায়ে গায়ে গিয়ে কান পাতছেন- কেউ বেঁচে আছেন কিনা তা শুনতে।
স্বজনদের উদ্ধার অভিযান নিয়ে এমন বর্ণনাই দেন অনুসন্ধানকারীরা।
তুরস্কের গাজিয়ানতেপ থেকে শুরু করে সিরিয়ার আলেপ্পো-গোটা জনপদই এখন ‘ধ্বংসস্তূপের বিরানভূমি’। সোমবার শেষ রাতের ৭.৮ মাত্রার ওই দানবীয় ভূমিকম্পের পর নগর বা নাগরিক জৌলুস হারিয়ে বিবর্ণ হয়ে গেছে এই সভ্য লোকালয়। প্রলয় দাপটে ধসে যাওয় এ ভূখণ্ডের এখন নতুন পরিচয়-মৃত্যুপুরী।