ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় স্থল অভিযান চালাচ্ছে ইসরাইল। এই অভিযানে হামাসের সঙ্গে চলছে তুমুল সংর্ঘষ। এতে বেশি সুবিধা করতে পারছে না ইসরাইল। হামাসের সামরিক শাখা আল-কাসাম বিগ্রেড জানিয়েছে, স্থল অভিযানের সময় গত ৭২ ঘণ্টায় ইসরাইলের ৬০টি সামরিক যান ধ্বংস করেছে তারা।
সোমবার এক ভিডিও রেকর্ড করা বার্তায় আল কাসাম ব্রিগেডের মুখপাত্র আবু ওবায়দা এসব কথা বলেন। খবর আনাদোলু এজেন্সির।
তিনি বলেন, টার্গেট করা ইসরাইলি সামরিক যানগুলোকে ধ্বংসের জন্য গত তিন দিনে ১০টি সেনাবাহী যান হামলায় অন্তর্ভুক্ত ছিল।
তিনি আরও বলেছেন, গাজা উপত্যকার বেশ কয়েকটি এলাকায় ইসরাইলি বাহিনীর সঙ্গে ব্যাপক সংঘর্ষ চলছে।
ইসরাইলি গণমাধ্যমের তথ্য মতে, গত ২৭ অক্টোবর গাজায় ইসরাইলি স্থল অভিযান শুরুর পর থেকে অন্তত ৬৬ ইসরাইলি সেনা নিহত হয়েছে। ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ গোষ্ঠী হামাসের আন্তঃসীমান্ত আক্রমণের পর থেকে ইসরাইল গাজা উপত্যকায় হাসপাতাল, বাসস্থান, মসজিদ এবং গির্জাসহ বিভিন্ন স্থানে অবিরাম বিমান ও স্থল আক্রমণ শুরু করেছে।
ইসরাইলের নির্বিচারে হামলায় গাজায় সাড়ে ১৩ হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে সাড়ে ৫ হাজারের বেশি শিশু এবং সাড়ে তিন হাজারের বেশি নারী।
এদিকে জানা গেছে, দীর্ঘ দেড় মাস ধরে গাজায় হামলা চালানোর পর হামাসের সঙ্গে সমঝোতায় যেতে রাজি হয়েছে ইসরাইল। তবে এখন অপেক্ষা শুধু হামাসের পক্ষ থেকে জবাব পাওয়ার। সোমবার (২১ নভেম্বর) ইসরাইলি টেলিভিশন চ্যানেলের এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, হামাসের হাতে থাকা জিম্মিদের মুক্ত করতে এই সমঝোতায় আসতে আগ্রহী ইসরাইল।
ইসরাইলি চ্যানেলটির বরাত দিয়ে আনাদোলু জানিয়েছে, হামাস যদি তাদের থাকা জিম্মিদের মুক্তি দেয়, তাহলে ইসরাইলের বিভিন্ন কারাগারে বন্দি ফিলিস্তিনিদেরও ছেড়ে দেবে তারা। এখন অপেক্ষা কেবল হামাসের জবাবের।
জিম্মিদের মুক্ত করতে হামাসের সঙ্গে সমঝোতায় পৌঁছানোর ব্যাপারটি ইসরাইল যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করছে উল্লেখ করে কান জানিয়েছে, বল এখন হামাসের কোর্টে। হামাস ইতিবাচক সাড়া দিলে সহজেই সমঝোতা হতে পারে।