যে ৮টি কারণে পেটের মেদ বাড়ছে!

fat-stomach-men-reasons
Spread the love

পেটের ভুঁড়ি কমানোর জন্য অনেকেই চেষ্টা করছেন। শরীরের সঠিক ওজন ধরে রাখা স্বাস্থ্যকর। বেড়ে গেলেই তৈরি হয় নানা সমস্যা। দুই ধরনের পেটের চর্বি আপনার শরীরের ওপর ভিন্ন ভাবে প্রভাব ফেলে। 

১. ভিসারাল ফ্যাট: ভিসারাল ফ্যাট হল এক প্রকার চর্বি যা আপনার পেটের অঙ্গগুলোর গভীরে থাকে এবং বাইরে থেকে দেখা যায় না। এটি পাকস্থলী, লিভার, অন্ত্র এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গকে ঘিরে থাকে।

২.সাবকুটেনিয়াস ফ্যাট: সাবকুটেনিয়াস ফ্যাট হলো আপনার ত্বকের নিচের চর্বি। এটি আপনি আপনার হাত দিয়ে ধরতে পারবেন। সাবকুটেনিয়াস ফ্যাট মূলত নিতম্ব, উরু এবং পেটের চারপাশে জমা থাকে।

এখন জেনে নিই কোন ৮ টি কারণে পেটের চর্বি বাড়ে:

১. প্রচুর পরিমাণে চিনিযুক্ত পানীয় পান করছেন। এই ধরনের চিনির কারণে পেটে চর্বি জমে। শুধু পেটেই নয় লিভারেও চর্বি জমে। তাই খাদ্য তালিকা থেকে চিনি বাদ দিন। চিনি ছাড়া চা, ব্ল্যাক কফি, পানি ইত্যাদি পান করতে পারেন। 

২. প্রচুর পরিমাণে প্রক্রিয়াজাত খাবার বা প্যাকেটজাত খাবার খেলে পেটে চর্বি জমে। বাইরে খাওয়া কমিয়ে বাড়িতে তৈরি খাবার খেতে হবে। বার্লি, ভুট্টা, গম, ওটস, ভাত এগুলো খাওয়া ভালো। বিভিন্ন ধরনের সবজি এবং ফল খেতে হবে। 

৩. সঠিক পরিমাণে প্রোটিন না খাওয়া। প্রোটিন খুব গুরুত্বপূর্ণ মাইক্রোনিউট্রিয়েন্ট যা পেটের চর্বি কমাতে সাহায্য করে। তাই মাছ, মাংস, ডিম, দুধ, বাদাম খেতে হবে। 

৪. শারীরিক কাজের অভাব। শারীরিক প্ররিশ্রম কম করলে ওজন কমানো খুব কষ্ট। এটা ছাড়া উপায় নেই। তাই ব্যায়াম করতে হবে। সারাদিন বসে থাকলে হবে না।

৫. খেতে বসলে একেবারে বেশি পরিমাণে খেয়ে ফেলা পেটের চর্বি বাড়ার একটি বড় কারণ। বেশি পরিমাণে খেলে প্রচুর ক্যালোরি শরীরে প্রবেশ করে ফেলে। একবারে বেশি না খেয়ে ঘন ঘন অল্প পরিমাণে খেতে হবে। 

৬. মানসিক চাপে থাকলেও পেটের চর্বি বেড়ে যেতে পারে।

৭. কী খাচ্ছেন সেদিকে খেয়াল রাখছেন না। বাসায় ঠিকঠাক খাচ্ছেন কিন্তু বাইরে যে যা দিচ্ছে খেয়ে ফেলছেন তাহলে কিন্তু হবে না। 

৮. ট্রান্স ফ্যাট দুটি উপায়ে আমাদের শরীরে প্রবেশ করে।  প্রাকৃতিকভাবে এবং কৃত্রিমভাবে। প্রাকৃতিকভাবে চর্বি আসে মাংস থেকে এবং দুধের তৈরি পণ্য থেকে। কৃত্রিমভাবে যে ট্রান্স ফ্যাট আমাদের শরীরে আসে তা সমস্যা সৃষ্টি করে। যেমন:  ডোনাট, কেক, হিমায়িত পিজ্জা, প্যাকেটের বিস্কুট, মার্জারিন ইত্যাদি। ট্রান্স ফ্যাট  খারাপ কোলেস্টেরল (এলডিএল) বাড়ায় এবং ভালো কোলেস্টেরল (এইচডিএল) কমিয়ে দেয়। 

সূত্র : ওয়েলনেস৫২ডটকম।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *