কয়েকটি বই নিয়ে আপত্তি তুলে একটি প্রকাশনা সংস্থাকে একুশে বইমেলায় স্টল বরাদ্দ না দেওয়ায় বাংলা একাডেমির কড়া সমালোচনা করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেছেন, ‘কি দুর্ভাগ্য আজকে, যে বাংলা একাডেমি প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল বাংলাভাষা বিকাশের জন্য, চিন্তা-চেতনার বিকাশের জন্য, মুক্ত চিন্তার জন্য; সেই বাংলা একাডেমি আজকে অন্যায়ভাবে বিভিন্ন স্টল বন্ধ করে দিয়ে বিভিন্ন বই প্রদর্শনী বন্ধ করে দিয়ে আজকে একটা কলঙ্কজনক অধ্যায়ের সৃষ্টি করেছে।’
তিনি বলেন, আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি এবং একই সঙ্গে এই ২১ ফেব্রুয়ারিতে নতুন করে শপথ নিতে চাই— আমরা বাংলাদেশে গণতন্ত্রকে পুনরুদ্ধার করব, আমরা বাংলাদেশে জনগণের যে কথা বলার অধিকার, মুক্ত চিন্তার অধিকার, জনগণের লেখার অধিকার, তার যে স্বাধীনতা, সেই স্বাধীনতা আমরা নিশ্চিয় প্রতিষ্ঠিত করব।
রোববার দুপুরে নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্র্রীয় কার্যালয়ে দলের এক যৌথসভা শেষে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
কয়েকটি বই নিয়ে আপত্তি তুলে এবারের অমর একুশে বইমেলায় আদর্শ প্রকাশনীকে স্টল বরাদ্দ দেয়নি বাংলা একাডেমি। বিষয়টি শেষ পর্যন্ত আদালতে গড়িয়েছে।
২০১০ সাল থেকে বইমেলায় অংশ নিয়ে আসা প্রকাশনা সংস্থাটির স্বত্বাধিকারী মো. মাহবুবুর রহমান এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছিলেন— ফয়েজ আহমেদ তৈয়্যবের ‘অপ্রতিরোধ্য উন্নয়নের অভাবনীয় কথামালা’, ফাহাম আব্দুস সালামের ‘বাঙালির মিডিয়োক্রিটির সন্ধানে’ ও জিয়া হাসানের ‘উন্নয়ন বিভ্রম’ বইয়ের জন্যই আদর্শকে স্টল বরাদ্দ দেওয়া হয়নি।
পরে ‘বাঙালির মিডিয়োক্রিটির সন্ধান ‘বইটিকে ‘বিতর্কিত’ আখ্যা দিয়ে আদর্শকে স্টল বরাদ্দ না দেওয়ার ব্যাখ্যা দেয় বাংলা একাডেমি। বইটির লেখক ফাহাম আব্দুস সালাম বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুলের মেয়ের জামাই।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘কি দুর্ভাগ্য। আজকে জাতি সেই ৫১ বছরে স্বাধীনতার পরও এবং ১৯৫২ সালের এতদিন পর আজকে এই জাতি তার অধিকারগুলো থেকে বঞ্চিত হয়েছে। গণতান্ত্রিক অধিকার থেকে বঞ্চিত হয়েছে, চিন্তার স্বাধীনতা থেকে বঞ্চিত হয়েছে, কথা বলার স্বাধীনতা থেকে বঞ্চিত হয়েছে, লেখার স্বাধীনতা থেকে বঞ্চিত হয়েছে।’