রোজায় ব্যবহৃত পাঁচটি পণ্যের প্রয়োজনের চেয়ে বেশি এলসি খোলা হয়েছে। পণ্যগুলো হলো চিনি, ভোজ্য তেল, ডাল, পেঁয়াজ ও খেজুর। গত বুধবার পর্যন্ত এসব পণ্যের ১২ লাখ ৫৩ হাজার ৪০৫ মেট্রিক টনের এলসি (ঋণপত্র) খোলা হয়েছে। এসব পণ্য দেশে আসতে শুরু করেছে। রমজানের আগেই সব পৌঁছে যাবে। চলতি জানুয়ারি মাসে আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় এলসি খোলার পরিমাণ যথেষ্ট বেড়েছে। সরবরাহব্যবস্থা স্বাভাবিক থাকলে এসব পণ্যের কোনো সংকট হবে না বলে জানিয়েছে ব্যাংক খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি।
গতকাল বৃহস্পতিবার সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র এ তথ্য জানান। বাংলাদেশ ব্যাংকের সম্মেলনকক্ষে এ সংবাদ সম্মেলন হয়।
মুখপাত্র বলেন, বুধবার পর্যন্ত এসব পণ্যের মধ্যে চিনির ঋণপত্র খোলা হয়েছে পাঁচ লাখ ৬৫ হাজার ৯৪১ টন, আগের বছর একই সময়ে খোলা হয়েছিল পাঁচ লাখ ১১ হাজার ৪৯৩ মেট্রিক টন। ভোজ্য তেলের এলসি খোলা হয়েছে তিন লাখ ৯০ হাজার ৮৫৩ টন, আগের বছর একই সময়ে খোলা হয়েছে তিন লাখ ৫২ হাজার ৯৬০ টন।
তিনি বলেন, পেঁয়াজের এলসি খোলা হয়েছে ৪২ হাজার ৫৬৩ টন, আগের বছর একই সময়ে খোলা হয়েছিল ৩৬ হাজার ২২৬ টন। ডালের এলসি খোলা হয়েছে দুই লাখ ২৪ হাজার ৫৬৭ টন, গত বছরের একই সময়ে খোলা হয়েছিল দুই লাখ ৬৫ হাজার ৫৯৬ টন।
খেজুরের এলসি খোলা হয়েছে ২৯ হাজার ৪৮২ টন, গত বছর একই সময়ে খোলা হয়েছিল ১৬ হাজার ৪৯৮ মেট্রিক টন। রোজা আসার আগে এলসি খোলা হবে বলেও জানান তিনি।
এসব পণ্যের সঠিক সরবরাহে সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও দপ্তর কাজ করছে। সম্পূর্ণ বাধাহীনভাবে বাজারে পৌঁছানোও সম্ভব হবে বলে জানান বাংলাদেশ ব্যাংকের এই নির্বাহী পরিচালক।
তিনি বলেন, প্রবাসী আয় বেড়েছে, রপ্তানি আয় বৃদ্ধি অব্যাহত আছে। অন্যদিকে অপ্রয়োজনীয় ও বিলাসী পণ্য আমদানিতে নিরুৎসাহ করা হচ্ছে। পুরনো আমদানি ব্যয় নির্বাহ করতে এখনো ব্যালান্স অব পেমেন্টে ঘাটতি থাকলেও শিগগিরই এ ঘাটতি থাকবে না। এতে ডলারের সংকট দূর হবে। তবে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধ না হলে পরিস্থিতি পুরোপুরি কখন নিয়ন্ত্রণে আসবে, বলা যাবে না। কিছু ব্যবসায়ী বলছেন রোজায় ব্যবহৃত পণ্য আমদানি করতে এলসি খুলতে পারছে না, ব্যাংক এলসি খুলতে রাজি হচ্ছে না—প্রশ্নের জবাবে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক বলেন, মোট এলসি খোলার চিত্র সে কথা বলছে না।