আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলমকে উপহারের গাড়ি (মাইক্রোবাস) হস্তান্তর করেছেন হবিগঞ্জের শিক্ষক এম মুখলিছুর রহমান। এই উপহার গ্রহণ করে হিরো আলম বলেন, ‘উপহারের গাড়িটি আমি গ্রহণ করেছি, কিন্তু এটি আমি নিজে ব্যবহার করবো না। অনেক অসহায় দুস্থ মানুষ আছেন, যারা দুর্ঘটনা কিংবা জরুরি রোগে আক্রান্ত হয়ে অ্যাম্বুলেন্সে হাসপাতালে যেতে পারেন না। তাই এই গাড়িটিকে অ্যাম্বুলেন্স বানিয়ে মানুষের কল্যাণে ব্যবহার করা হবে।’
মঙ্গলবার দুপুর আড়াইটার দিকে হিরো আলম চুনারুঘাট উপজেলার নরপতি গ্রামে পৌঁছালে মুখলিছুর রহমান ও এলাকাবাসী তাকে স্বাগত জানান। এসময় হিরো আলমকে দেখতে স্থানীয়দের ভিড় ছিল উপচে পড়া। পরে এম মুখলিছুর রহমানের বাড়িতে উপহার দেওয়া উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানস্থলে যোগ দেন তিনি। এ সময় হিরো আলমের হাতে গাড়ির কাগজ ও সম্মাননা স্মারক আনুষ্ঠানিকভাবে তুলে দেওয়া হয়।গাড়ি উপহার দেয়া শিক্ষক এম মুখলিছুর রহমান স্থানীয় একটি কিন্ডারগার্টেনের প্রিন্সিপাল হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। তিনি নিজেও হিরো আলমের একজন ভক্ত।
শিক্ষক মুখলিছুর রহমান এক প্রতিক্রিয়ায় বলেন, ‘আমি ওয়াদা করেছিলাম, নির্বাচনে হিরো আলম সাহেব জয়ী হন বা না হন পরের দিন আমার বাড়িতে আসলে আমি গাড়িটি তার হাতে তুলে দেবো। কিন্তু কিছু স্বার্থান্বেষী মহল বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আমার সমালোচনা করেছেন। এতে আমি খুব কষ্ট পেয়েছি। আমি সিলেটবাসীর সম্মান ক্ষুন্ন করতে দেবো না। সম্মানের সাথে আমি হিরো আলমকে গাড়িটি তুলে দিতে পেরে খুশি।’
তিনি আরও বলেন, ‘হিরো আলম ভাই আমার বাড়িতে এসেছেন আমার আর পাওয়ার কিছু নাই। পরে তিনি হিরো আলমকে জড়িয়ে আবেগ আপ্লুত হয়ে পড়েন।
উল্লেখ্য, বগুড়া-৪ আসনের উপ-নির্বাচনের আগের দিন ফেসবুক লাইভে এসে আলোচিত স্বতন্ত্র প্রার্থী আশরাফুল হোসেন আলম ওরফে হিরো আলমকে গাড়ি উপহার দেওয়ার ঘোষণা দেন শিক্ষক এম. মুখলিছুর রহমান। এতে ফেসবুকসহ বেশ কিছু গণমাধ্যমে পক্ষে-বিপক্ষে আলোচনা ও সমালোচনা সৃষ্টি হয়। একাধিক সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে হিরো আলমকে গাড়িটি উপহার দিতে সেই শিক্ষক গড়িমসি করছেন বলেও উল্লেখ করা হয়। তাছাড়া হিরো আলম সেই শিক্ষকের বিরুদ্ধে মামলা করবেন বলেও হুমকি দিয়েছিলেন। যা নিয়ে গত কয়েকদিন হিরো আলম ও মুখলিছুর রহমান ছিল আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে।