রাজধানীর বঙ্গবাজার মার্কেটের মঙ্গলবার সকালে ভয়াবহ যে অগিকাণ্ড ঘটেছে, তাতে প্রায় দুই হাজার কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। এ ছাড়া বঙ্গবাজার মার্কেটের আড়াই হাজারসহ আশপাশের মার্কেটের প্রায় ৫ হাজার দোকান আগুনে পুড়ে গেছে।
বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সভাপতি হেলাল উদ্দিন ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গিয়ে এমন দাবি করেছেন। এ সময় তিনি প্রাথমিকভাবে সরকারি তহবিল থেকে ৭০০ কোটি টাকা বরাদ্দেরও দাবি জানান।
![আগুনে ক্ষয়ক্ষতি কত বঙ্গবাজার এ? 2 Fireservice collected jpg - Dainik Bhashwakar](https://i0.wp.com/dainikbhashwakar.com/wp-content/uploads/2023/04/Fireservice-collected-jpg.webp?resize=640%2C360&ssl=1)
ঘটনাস্থলে গিয়ে উপস্থিত সাংবাদিকদের হেলাল উদ্দিন বলেন, আমাদের জানা মতে, শুধু বঙ্গবাজার কাঠের মার্কেটেই আড়াই হাজারের মতো দোকান রয়েছে। আশপাশের মার্কেটগুলোতেও আগুন ছড়িয়ে পড়েছে। এতে প্রায় পাঁচ হাজার দোকান পুড়ে গেছে। এখানে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা দোকান করেন। সামনে ঈদ। সবাই ঈদকেন্দ্রিক বেচাকেনার পণ্য তুলেছেন দোকানে। এমন সময় এই অগ্নিকাণ্ড বড় ধরনের ক্ষতি ডেকে এনেছে।
বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সভাপতি আরও বলেন, দোকানের মালামালই ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের একমাত্র পুঁজি। সেই পুঁজি পুড়ে গেলে তাদের আসলে আর কিছু থাকে না, পুঁজি বলতে সব শেষ।
এই মুহূর্তে ব্যবসায়ীদের জন্য রমজানের ঈদকেন্দ্রিক ব্যবসায় ক্ষতি পুষিয়ে দিতে প্রাথমিকভাবে ৭০০ কোটি টাকার থোক বরাদ্দের দাবি জানাচ্ছি সরকারের কাছে, বলেন হেলাল উদ্দিন।
![আগুনে ক্ষয়ক্ষতি কত বঙ্গবাজার এ? 3 Shahidullah hall collected - Dainik Bhashwakar](https://i0.wp.com/dainikbhashwakar.com/wp-content/uploads/2023/04/Shahidullah-hall-collected.jpg?resize=640%2C853&ssl=1)
এর আগে মঙ্গলবার সকাল ৬টা ১০ মিনিটের দিকে আগুনের খবর পেয়ে দুই মিনিটের মাথায় অর্থাৎ ৬টা ১২ মিনিটের দিকে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় ফায়ার সার্ভিসের প্রথম ইউনিট। কারণ এর পাশেই অবস্থিত ফায়ার সার্ভিসের সদরদপ্তর। কিন্তু পানির সংকট ও ব্যাপক বাতাসের ফলে আগুনের তীব্রতা বাড়তে থাকে। এক পর্যায়ে ফায়ার সার্ভিসের ৪৮টি ইউনিট আগুন নেভানোর কাজে যোগ দেয়। অবশেষে বেলা ১২টা ৩৬ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস।