এবার আলিয়া ভাট তার প্রতিবেশীদের টপকে। এমনকি নিজের ঘরে, বারান্দায় আরামে হাঁটতেও পারছেন না তিনি। একান্ত মুহূর্তে ফটো-শিকারিদের লেন্সে ধরা পড়ার ঘটনার দুদিন পর প্রকাশ্যে আসেন আলিয়া ভাট। তিনি গাড়ি থেকে নেমে হাসলেন এবং ক্যামেরার দিকে নাড়লেন। সুযোগ পেলেই আলিয়াকে ঘিরে ফেলেন আলোকচিত্রীরা।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায়ও তার ব্যতিক্রম হয়নি। আগের আলিয়াকে আবার ঢিলেঢালা গোলাপি স্যুট, খোলা চুল এবং নো মেকআপ লুকে দেখা গেছে। তাকে স্বাভাবিক দেখে ভক্তরাও স্বস্তি পেয়েছেন। দুদিন আগে রাগের মাথায় আগুন ধরেছিলেন আলিয়া। ব্যক্তিগত স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপের অভিযোগ করেছেন অভিনেত্রী। আলিয়া জানান, এক অলস বিকেলে যখন তিনি নিজে ছিলেন, তখন পাশের বাড়ির ছাদ থেকে দুজন লোক তার ঘরে একটি ক্যামেরা দেখায়। লেন্স লাগিয়ে অভিনেত্রীর অসতর্ক মুহূর্তের ছবি ছড়িয়ে দেন অজ্ঞাতপরিচয় দুই ব্যক্তি।
ছবিটি বিভিন্ন মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়তেই তার নজরে আসে। রাগে ফেটে পড়লেন মিসেস রণবীর। আলিয়া ইনস্টাগ্রামে লিখেছেন, “এটা কী রকম রসিকতা! আমি আমার বাড়িতে খুব স্বাভাবিক সময় কাটাচ্ছিলাম। আমি বসার ঘরে যেতেই মনে হলো কেউ আমাকে দেখছে। আমি দেখি দুইজন ছাদে উঠে গেছে। আমার প্রতিবেশীর বাড়িতে গিয়ে ক্যামেরা তাক করে আমার দিকে!’
এখানেই শেষ নয়, আলিয়া আরও লেখেন, ‘কোন জগতে এটা করাটা সঠিক বলে মনে করা হয়? এ ধরনের কাজের অনুমতি কোথায়? এটা কারো গোপনীয়তায় সরাসরি হস্তক্ষেপ! সবকিছুরই একটা সীমা আছে, যা অতিক্রম করা উচিত নয়। তারা সবকিছু অতিক্রম করেছে!’ অভিনেত্রী তার পোস্টে মুম্বাই পুলিশকে ট্যাগ করেছেন এবং সাহায্য চেয়েছেন।
আলিয়াকে মুম্বাই পুলিশ লিখিত অভিযোগ দায়ের করতে বলেছে। ছিমছাম ছবিতে, আলিয়াকে বাড়ির পোশাকে বসার ঘরে বসে থাকতে দেখা যায়। ছবি তোলার জন্য একটি জুম লেন্স ব্যবহার করা হয়। এখন আলিয়া মামলা করবেন কিনা। এখনো কোনো সিদ্ধান্ত নেই।