দেশের মোট বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতার ১০ শতাংশ হবে নবায়নযোগ্য জ্বালানি। এই লক্ষ্য অর্জনের জন্য সৌর শক্তিকে সর্বাধিক করাকে মূল বলে মনে করা হয়েছিল। ২০২১ সালের মধ্যে এই লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের কথা থাকলেও তা সম্ভব হয়নি। বিদ্যুৎ বিভাগের সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সরকার লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের চেষ্টা করলেও মূলত জমির অভাবে তা সফল হয়নি। তবে লক্ষ্য অর্জনে কাজ চলছে।
বিদ্যুৎ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, নবায়নযোগ্য জ্বালানি বাদ দিয়ে দেশে বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা ২৫ হাজার মেগাওয়াটের বেশি। আর বর্তমানে নবায়নযোগ্য শক্তি থেকে ৪ শতাংশেরও কম বিদ্যুৎ উৎপাদিত হয়।
বিদ্যুৎ উৎপাদনের প্রচলিত উৎসের মধ্যে রয়েছে তেল, প্রাকৃতিক গ্যাস এবং কয়লা, কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। তিনটিই জীবাশ্ম জ্বালানি। এগুলো জলবায়ু পরিবর্তনে বড় ধরনের প্রভাব ফেলছে। তাই বৈশ্বিক জ্বালানি সংকট ও জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় সারা বিশ্ব এখন বিকল্প হিসেবে নবায়নযোগ্য জ্বালানি উৎপাদনের ওপর জোর দিচ্ছে।
বিদ্যুৎ বিভাগের সূত্রের মতে, পাওয়ার সিস্টেম মাস্টার প্ল্যান (PSMP) ২০১৬ সালে ২০২১ সালের মধ্যে নবায়নযোগ্য শক্তি থেকে মোট বিদ্যুত উৎপাদন ক্ষমতার ১০ শতাংশে পৌঁছানোর লক্ষ্য নির্ধারণ করেছিল। সৌর শক্তিকে সর্বাধিক করাকে গুরুত্বপূর্ণ হিসাবে বিবেচনা করা হয়েছিল।
টেকসই ও নবায়নযোগ্য শক্তি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (SREDA) সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, দেশে বর্তমানে নবায়নযোগ্য শক্তি থেকে ৯৫৮.৪৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হয়, যা দেশে উৎপাদিত মোট বিদ্যুতের ৩.৮৩ শতাংশ। ৭২৪.৪৬ মেগাওয়াট শুধুমাত্র সৌর শক্তি থেকে উৎপন্ন হয়। এছাড়া ২৩০ মেগাওয়াট আসছে হাইড্রো থেকে, ২.৯ মেগাওয়াট আসছে বাতাস থেকে, ৬৯ মেগাওয়াট আসছে বায়োগ্যাস থেকে এবং ৪ মেগাওয়াট আসছে বায়োমাস থেকে।