রাজধানীতে হারিকেন মিছিল করেছে গন অধিকার পরিষদের নেতাকর্মীরা বিদ্যুতের ‘অস্বাভাবিক’ দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদে। শুক্রবার রাতে দলটির সদস্য সচিব নুরুল হক নুরের নেতৃত্বে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে থেকে মিছিল বের করে।
মিছিলটি পল্টন মোড়, কাকরাইল, নাইটিঙ্গেল, ফকিরাপুল মোড় হয়ে পুরনো পল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে গিয়ে শেষ হয়।
এর আগে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে গণঅধিকার পরিষদের বিক্ষোভ সমাবেশে দলটির সদস্য সচিব নুরুল হক নুর বলেন, বিদ্যুৎ উৎপাদনে ব্যর্থ এ সরকার জনগণের হাতে হারিকেন ধরিয়ে দিয়েছে। এখন সরকারের হাতে হারিকেন ধরিয়ে বিদায় দেওয়ার পালা। এক মাসে দুই বার বিদ্যুতের দাম বাড়িয়ে এই সরকার জনগণের সঙ্গে ভণ্ডামি করছে, ধোঁকাবাজি করছে।
তিনি বলেন, সরকার বাণিজ্যিক পর্যায়ে গ্যাস এবং বিদ্যুতের যে মূল্য বাড়িয়েছে যার ফলে কলকারখানা, গার্মেন্টস এবং শিল্প প্রতিষ্ঠানের সব খরচ বেড়ে যাবে। ফলে এই ব্যয়ভার জনগণের উপরে তারা চাপাবে। এই সরকার যে ডাকাত ও লুটপাটের সরকার তা আর নতুন করে বলার কিছু নেই।
নুর আরও বলেন, গত ৩২ বছর দুটি দল দেশ চালিয়েছে, আপনারা কি বলতে পারবেন কখনো তারা জনগণের জন্য কাজ করেছে? কখনও জনগণ ভালো ছিল, সুখে ছিল? বরং এই সময়ে যে দল যখনই ক্ষমতায় ছিল তখনই সে বিরোধীদেরকে নির্মূল করে এক দলীয় শাসন কায়েম করার পায়তারা করেছে। ১৯৯৬ সালে এই সরকার তত্ত্বাবধায়ক সরকার দাবিতে ১৭৬ দিন বাংলাদেশের জ্বালা পোড়াও আন্দোলন করে দেশে একটি নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি তৈরি করেছিল।
তিনি বলেন, সংবিধান থেকে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করে, এখন এই সরকারেই বলছে সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন হবে। যে সংবিধানকে কাটাছেড়া করে বাকশালি সংবিধানে রূপান্তরিত করেছে, সেই সংবিধান দিয়ে জনগণের অধিকার রক্ষা হবে না। তাই এই সরকারকে জনগণের দাবির প্রতি সম্মান জানিয়ে অবিলম্বে পদত্যাগ করে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে হবে। সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ থাকলে গণঅধিকার পরিষদ এককভাবে প্রার্থী দিবে।এই নিয়ে বিভ্রান্ত হওয়ার সুযোগ নাই। আমরা গণতন্ত্র মঞ্চের সঙ্গে যেমন আছি, তেমনি বৃহৎ স্বার্থে অন্য সব বিরোধী দলগুলো নিয়ে বৃহৎ ঐক্য গড়ে তুলতে চাই।
বিক্ষোভ সমাবেশে যুগ্ম আহ্বায়ক মাহফুজুর রহমান খান ও সাইফুল্লাহ হায়দারের সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য দেন- গণঅধিকার পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক মুহাম্মদ রাশেদ খান, ফারুক হাসান, সোহরাব হোসেন, আবু হানিফ, বিপ্লব কুমার পোদ্দার, সাদ্দাম হোসেন, শাকিলউজ্জামান, ড. মালেক ফরাজী, জসিম উদ্দিন, পাঠান আজহার, সহকারী আহ্বায়ক শামসুদ্দিন, যুগ্ম সদস্য সচিব আতাউল্লাহ, তারেক রহমান, মহানগর দক্ষিণের সদস্য সচিব ইসমাইল হোসেন, ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লা, যুব অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক নাদিম হাসান, সাংগঠনিক সম্পাদক মুনতাজুল, শ্রমিক অধিকার পরিষদের সভাপতি আব্দুর রহমান প্রমুখ।