ছোট লক্ষ্য তারা করতে নেমে নাসিরের ঘূর্ণির শিকার, কষ্টের জয় রংপুরের।

rangpur-vs-dhaka-collected
Spread the love

রান তাড়ায় নেমে ব্যাট হাতে ঝড় তলেছিলেন নুরুল হাসান সোহান। স্বল্প পুঁজি নিয়েও ঢাকা শুরুতে যেভাবে লড়াই জমিয়ে তুলেছিল, রংপুর রাইডার্স অধিনায়কের ব্যাটের সামনে সব ধসে পড়ে। সেই সোহান আউট হতেই ম্যাচে নাটকীয় মোড়। হুট করেই ম্যাচে ফিরে ঢাকা ডমিনেটর্স। বল হাতে ভয়ংকর হয়ে ওঠেন নাসির হোসেন। ২২ রানের মধ্যে রংপুরের ৫ উইকেট পড়ে যায়। ম্যাচ গড়ায় শেষ ওভারে। তবে শেষ পর্যন্ত ২ উইকেটে স্বস্তির জয় তুলে নেয় রংপুর রাইডার্স।

রান তাড়ায় নেমে চাপে পড়েছিল রংপুর রাইডার্স। শরীফুল ইসলামের করা ইনিংসের দ্বিতীয় বলে ক্যাচ দিয়ে ফিরেন মোহাম্মদ নাঈম শেখ (০)। তিনে নামা মেহেদিকেও (৪) লেগ বিফোরের ফাঁদে ফেলেন শরীফুল। ৯ রানে ২ উইকেট হারানোর পর লড়াই শুরু করেন রনি তালুকদার এবং অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান। ধীরে ধীরে উইকেট থিতু হয়ে তারা হাত খোলেন। বিশেষ করে সোহান ছিলেন আগ্রাসী। ৩১ বলে তুলে নেন ফিফটি। নাসিরের বলে রনি তালুকদার ক্যাচ দিলে ভাঙে ৯৩ রানের এই জুটি।

রনি তালুকদার ৩৮ বলে ৩ চারে ৩৪ রানের ধীরগতির ইনিংস খেলেন। পরের ওভারে সোহানকে ফিরিয়ে ম্যাচ জমিয়ে তোলেন শরীফুল। ৩৩ বলে ৭ চার ৩ ছক্কায় ৬১ রানের ইনিংস খেলা সোহানের ক্যাচটি কয়েকবারের চেষ্টায় তালুবন্দি করেন সৌম্য সরকার। ফিরতি ওভারে এসে ফের শিকার ধরেন নাসির। ৫০০তম ম্যাচ খেলতে নামা শোয়েব মালিক ফিরেন ৫ বলে ৭ রান করে। এরপর ৯ বলে ১ রান করা মোহাম্মদ নওয়াজ আউট হলে রংপুর চাপে পড়ে যায়।

রংপুর যখন জয় থেকে ৭ রান দূরে, তখন নাসিরের তৃতীয় শিকার হন শামীম পাটোয়ারী (৮)। পরের বলে আবার বোল্ড রাকিবুল হাসান (০)!  নাসির অবশ্য হ্যাটট্রিক করতে পারেননি। ওই ওভারে আসে মাত্র ২ রান। শেষ ৬ বলে দরকার হয় ৫ রানের। বোলার ছিলেন মুক্তার আলী। যিনি আগে এক ওভার করে ১৬ রান দিয়েছিলেন। তৃতীয় বলেই ২ উইকেট হাতে রেখে জিতে যায় রংপুর রাইডার্স। ২০ রানে নাসিরের শিকার ৪ উইকেট।

এর আগে মিরপুর শেরে বাংলায় টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে ৮ উইকেটে ১৩০ রান সংগ্রহ করে ঢাকা ডমিনেটর্স। ইনিংসের চতুর্থ বলেই উইকেট হারায় ঢাকা। রান-আউট হয়ে ফিরে যান মোহাম্মদ মিঠুন (৫)। অপর ওপেনার সৌম্য সরকার তো বল ব্যাটেই লাগাতে পারছিলেন না! আজমতুল্লাহর বলে খোঁচা মেরে আউট হওয়ার আগে ১২ বলে করেন ৩ রান! এই আফগান পেসারের দ্বিতীয় শিকার ঢাকা অধিনায়ক নাসির হোসেন (২)। ১১ রানে ৩ উইকেট হারানোর পর প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করে ঢাকা।

অ্যালেক্স ব্লেককে (১৮) ফিরিয়ে সেই প্রতিরোধ ভাঙেন হাসান মাহমুদ। আবদুল্লাহ আল মামুন করেন ২৭ বলে ২৩ রান। তার বিদায়ে ৬৭ রানে ৫ উইকেট হারায় ঢাকা। মিডল অর্ডারে চেষ্টা করেছিলেন আরিফুল হক। তার ২৬ বলে ২ চার ১ ছক্কায় ৩০ রানের ইনিংস থামে সীমানায় শামীম হোসেনের তালুবন্দি হয়ে। শেষদিকে আমির হামজার ১১ বলে ১৫* রানের ক্যামিওতে ২০ ওভারে ঢাকার সংগ্রহ দাঁড়ায় ৮ উইকেটে ১৩০ রান। ২২ রানে ২ উইকেট নিয়েছেন আজমতুল্লাহ।

admin_bhashwakar

Learn More →

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *