চারদিকে কুয়াশায় মোড়া সকালে কর্মীরা স্টেশন পরিষ্কার করছেন। কেউ কেউ ফুলগাছের চারা লাগাচ্ছেন স্টেশনের পাশে। আবার কয়েকজন আগের লাগানো ফুলসহ গাছের পরিচর্যায় ব্যস্ত। এই চিত্র আজ রোববার সকালে রাজধানীর উত্তরার দিয়াবাড়িতে মেট্রোরেল স্টেশনের। দুই দিন পরে বুধবার (২৮ ডিসেম্বর) ওই স্টেশন থেকেই ঢাকার গণপরিবহনে নতুন যুগের সূচনা হবে। ওই দিন বাংলাদেশের প্রথম মেট্রোরেল উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রথম ধাপে উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত মেট্রোরেল চালু হচ্ছে। এ উপলক্ষে মেট্রোরেলের এই অংশে চলছে শেষ মুহূর্তের তৈয়ারী। ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন শ্রমিকেরা স্টেশন উদ্বোধনের পরিবেশনে। মেট্রোরেলের নিচের সড়কের কোথাও কোনো কাজের কিছু অংশ বাকি থাকলে তা শেষ করা হচ্ছে। মেট্রোরেলের নিচের রাস্তায় সড়ক যেখানে বিভাজক তৈরি করা হয়েছে, তার দুই পাশে লাগানো হচ্ছে ফুলের গাছ। সৌন্দর্যবর্ধনে অন্য অংশেও গাছ লাগানো হচ্ছে।
দুপুরে আগারগাঁও থেকে পল্লবী পর্যন্ত মেট্রোরেলের স্টেশনগুলোতেও শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতির কাজ চলতে দেখা গেছে। সেখানে স্টেশনগুলোর নিচের সড়ক বিভাজকে শ্রমিকরা রং করছে। আবার কোনো কোনো স্টেশনের প্রবেশফটকের সামনের ফুটপাতে টাইলস লাগাতে দেখা যায়। স্টেশনের নিরাপত্তায় পুলিশ সদস্যদের পাশাপাশি আনসার সদস্যরাও দায়িত্ব পালন করছেন। সাদাপোশাকেও বিভিন্ন বাহিনীর সদস্যরা নিয়োজিত রয়েছেন।
আগারগাঁওয়ে বিসিএস কম্পিউটার সিটির সামনে মেট্রোরেলের স্টেশন। বুধবার উদ্বোধনের আনুষ্ঠানিকতা সেরে প্রধানমন্ত্রী যাবেন আগারগাঁওয়ের এই স্টেশন থেকে উত্তরা পর্যন্ত। সেখানে করবেন ফলক উন্মোচন। আবার সেখান থেকে মেট্রোরেলে চড়ে আগারগাঁওয়ে আসবেন প্রধানমন্ত্রী।
মেট্রো রেল উন্মোচন করবে বাংলাদেশের আগামীর ভবিষৎ। যেকোনো দেশের সমৃদ্ধির চিহ্ন সে দেশের যোগাযোগ ব্যাবস্থা। এই রেল যখন পুরোপুরি চালু হয়ে যাবে, তখন আমাদের রাজধানী হয়ে উঠবে আরো উৎফুল্ল। আগামীর জন্য দেশের উন্নয়নে বিশেষ অবদান রাখবে এই মেট্রো রেল।