বিশ্বব্যাংকের সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, যমুনা নদীর ওপর রেলসেতু নতুন করে নির্মাণ করতে হবে। রেলসেতু নির্মাণের সময় কথা বলেছিলাম। কিন্তু বিশ্বব্যাংক তাতে কর্ণপাত করেনি। তাদের যুক্তি ছিল, রেলসেতু লাভজনক হবে না। রেলওয়ে সেতুর গুরুত্ব অনুধাবন করার পর তিনি এটি নির্মাণ করতে চেয়েছিলেন। তাই আমরা সেটা করতে রাজি হয়েছি।
রোববার কালশী বালুর মাঠে মিরপুর-কালশী ফ্লাইওভারের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ঢাকাসহ সারাদেশে যোগাযোগ ব্যবস্থার ব্যাপক উন্নতি হয়েছে। মেট্রোরেল চালু হয়েছে। ভূগর্ভস্থ টানেলও খোলার পথে। শুধু তাই নয়, পাতাল রেলের ব্যবস্থাও করেছি। আমরা ঢাকার চারপাশের চারটি নদীর নাব্যতা ফিরিয়ে এনে নৌপথ চালু করার পরিকল্পনা করছি।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, গত নভেম্বরে আমরা একই সঙ্গে 100টি সেতু ও 100টি রাস্তা উদ্বোধন করেছি, যা আগে কোনো সরকার করতে পেরেছে কিনা আমার জানা নেই। দেশ আমাদের, এই দেশকে আমরা জানি, দেশকে আমরা বুঝি, মানতে হবে কোথা থেকে উড়ে এসে বসবে? এটা হতে দেওয়া যাবে না। আমাদের নিজস্ব চিন্তাভাবনা থাকতে হবে। তাদের নিজেদের দেশ সম্পর্কে জানা উচিত। সেই লক্ষ্যেই কাজ করছে সরকার।
ঢাকাকে যানজটমুক্ত করার কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ঢাকা শহরের যানজট নিরসনে হানিফ ফ্লাইওভার, মগবাজার-মালিবাগ ফ্লাইওভার, বনানী, আহসানউল্লাহ ফ্লাইওভার চালু করা হয়েছে। ঢাকা-চট্টগ্রাম, ঢাকা-ময়মনসিংহ চার লেনে উন্নীত করা হয়েছে।
তিনি বলেন, কর্ণফুলী তালদেশ থেকে বঙ্গবন্ধু টানেল শিগগিরই উদ্বোধন করা হবে, যা হবে দক্ষিণ এশিয়ায় প্রথম। আমরা ঢাকা থেকে কক্সবাজার রেলপথ সম্প্রসারণের কাজ করছি। শুধু তাই নয়, ঢাকা থেকে রংপুর, সিলেট পর্যন্ত মহাসড়ককে চার লেনে উন্নীত করার কাজ দ্রুত এগিয়ে চলছে, যা দ্রুতগতির যানবাহনের জন্য ব্যবহার করা হবে। এদিকে পদ্মা সেতু ভাঙা থেকে খুলনা, মংলা পর্যন্ত সড়ক ও রেল যোগাযোগের কাজ চলছে।